দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বরফ কিংবা যাকে বলে তুষার, সেই তুষার নিয়ে মানুষের আগ্রহের যেনো শেষ নেই। আজ জেনে নিন তুষার সম্পর্কিত কিছু আশ্চর্যজনক তথ্য!
বিশ্বের অনেক গ্রীষ্মপ্রধান দেশে বিপুল অর্থ খরচ করে চেষ্টা চালান বরফ জমাতে। আবার তুষারে মোড়া নিসর্গও পর্যটকদের অনেক সময় আকর্ষণ করে। আজ জেনে নিন তুষার সম্পর্কে কিছু আশ্চর্যজনক তথ্য:
# বিশ্বের বৃহত্তম এক তুষারকণা পাওয়া গিয়েছিল আমেরিকায়। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর তথ্য মতে, ১৮৮৭ সালের ২৮ জানুয়ারি মন্ট্যানার ফোর্ট কিয়ঘে পাওয়া ওই তুষারকণাটির ব্যাস ছিলো ১৫ ইঞ্চি। কণাটি ৮ ইঞ্চি পুরু ছিলো।
# তুষার স্ফটিকের জটিল কাঠামোর জন্য এর ভেতরে অসংখ্য ছোট স্তর তৈরি হয়, এতে আলোকরশ্মি প্রতিফলিত হয়। সমানভাবে সূর্যের আলো শুষে নেওয়ার কারণে তুষারের রঙ সাদা মনে হয়। আসলে পানির মতোই এটি বর্ণহীন।
# ইতালিতে হয়েছিল বিশ্বের সাম্প্রতিক ইতিহাসে দ্রুততম তুষারপাত। ২০১৫ সালের ৫ মার্চ নাগাড়ে ১৮ ঘণ্টা তুষারপাত হয় দক্ষিণ ইতালির ক্যাপরাকোট্টা শহরে। ওই সময়ের মধ্যে ১০০ ইঞ্চি তুষারপাত হয়েছিল ওই অঞ্চলে, যা বিশ্বে নজিরবিহীন।
# পৃথিবীর ৮০% মিষ্টি পানি এখনও তুষারাকারে রয়েছে। অর্থাৎ নীল গ্রহের ১২% ভূ-পৃষ্ঠই বরফ-চাদরে ঢাকা রয়েছে।
# প্রচলিত ধারণা, এস্কিমোদের ভাষায় তুষারের ১০০টি নাম রয়েছে। ঘটনা হলো, এস্কিমো-অ্যালিউট ভাষায় তুষারের বিভিন্ন প্রতিশব্দের সঙ্গে প্রায় সমপরিমাণ উৎস শব্দ জড়িত। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ইংরেজি ভাষাতেও তুষার সম্পর্কে এই প্রবণতা বিদ্যমান রয়েছে।