দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আগেও এমন ঘটনার শিকার হয়েছে বাংলাদেশ। এবারও বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ম্যাচে কারসাজি হয়েছে। বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চেয়েছে নিউজিল্যান্ড!
এবারও টেস্ট ম্যাচে কারসাজি করার ঘটনা ধরা পড়েছে। ধরা খেয়ে আবার ক্ষমাও চেয়েছে নিউজিল্যান্ডের সংশ্লিষ্টরা। ঘটনাটি নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ওয়েলিংটন টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলার জন্য বে আইনীভাবে উইকেটে পানি দিয়েছিলেন বেসিন রিজার্ভের কিউরেটর! মূল উইকেটের পাশের উইকেটে পানি দেওয়া হয়েছে, এমন ঘটনাটি ঘটেছে স্বাগতিক কোচ মাইক হেসনের নির্দেশেই। কারণ হলো ঘটনাটি ঘটার মিনিট পাঁচেক আগেও তাকে কিউরেটরের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, ওই স্টেডিয়ামের রিজার্ভ আম্পায়ারের সামনেই ঘটনাটি ঘটেছে। অথচ তিনি ছিলেন একেবারে নির্বাক। ভাগ্য ভালো যে, পুরো ব্যাপারটির ভিডিওচিত্র নিজের মোবাইলে ধারণ করে রাখেন আমাদের কোচ চান্দিকা হাতুর সিংহে।
সেদিন সন্ধ্যাতেই ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথের নিকট নালিশ গেলে তিনি ‘কাজটি ঠিক হয়নি’ বলে দায়মুক্ত হন। পরদিন সকালে ওই রিজার্ভ আম্পায়ার হাতুর সিংহেকে ‘স্যরি’ বলে যান।
যে উইকেটে খেলা চলছে তার পাশের উইকেটেও পানি দেওয়া বে আইনী। প্রতিটি ম্যাচ শুরুর পূর্বেই নিয়মমাফিক ম্যাচ রেফারি এই কথাটি মনে করিয়ে দেন। কারণ তাতে মূল উইকেট অতিরিক্ত পানি শুষে নিতে পারে। এটা ফাস্ট বোলারদের জন্য আরও বেশি কার্যকর হয়ে থাকে। তখন এটা উইকেটের জন্য অনেকটা ‘মাদক’-এর মতোই কাজ করে। অস্বাভাবিক গতি, মাত্রাতিরিক্ত সুইং পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ওই উইকেটে।
উইকেটে পানি না দিলেই আমরা জিতে যেতাম হয়তো তেমনটি নয়। তবে উইকেটে পানি না দিলে পঞ্চমদিন অন্তত দুটো সেশন পুরোপুরিভাবে আমাদের ব্যাটসম্যানরা সার্ভাইভ করতেন। অন্ততপক্ষে ২০০-২৫০ রান জমা হতে পারতো বোর্ডে। এক সেশনে ব্ল্যাক ক্যাপ ব্যাটসম্যানদের সামনে ৩০০ রানের মতো একটা টার্গেট থাকতো তখন। এতো অর্জনের টেস্ট ম্যাচটা আমাদের এমন কালো মুখে হয়তো শেষ করতে হতো না!
সে কারণে এমন ঘটনাকে মানবিক ভুল বলে রেহাই পেয়ে যাওয়াটা রীতিমত অন্যায় আবদার ছাড়া আর কিছু নয়। এসব ঘটনায় আইসিসির নির্দেশ অনুযায়ীই শাস্তির বিধান রয়েছে। তবে সেটি নির্ভর করছে বিসিবির অভিযোগ করার ওপর। তবে এখন পর্যন্ত বিসিবির পক্ষ হতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
আদৌ কোনো পদক্ষেপ বিসিবি নেবে কী না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। নাকি বরাবরের মতো এবারও আমরা আরেকটা ষড়যন্ত্র মুখ বুজে মেনে নেবো? বর্তমান সময়ে ‘স্যরি’ বলে রেহাই পেয়ে যাওয়ার দিনটা মনে হয় শেষ হওয়া উচিৎ!