দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জাপান। কারণ জাপানিরা যেমন ভদ্র জাতি তেমনি কর্তব্যপরায়ণও। সেই জানানে মাত্র এক বছরেই স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পাবেন! কীভাবে?
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যাওয়া জাপানকে পৃথিবীর এক নম্বর সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে চেনেন অনেকেই। প্রযুক্তিতেও জাপানিদের জুড়ি নেই। জাপানকে অনুসরণ করেই আজ চীন প্রযুক্তিতে উন্নত।
স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বা পড়াশুনার জন্য তাই অনেকেই জাপানকে বেঁচে নেন। তবে বিদেশী দক্ষ পেশাজীবীদের জাপানে বসবাস উৎসাহিত করতে অভিবাসনের পূর্বের নিয়ম সংস্কার করে পরিবর্তন এনেছে দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়।
নতুন নিয়ম হলো, পর্যাপ্ত পয়েন্ট অর্জন করতে পারলে যে কেও মাত্র এক বছরেই দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ পাবেন।
এ বছরের মার্চ হতে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হবে বলে সম্প্রতি জাপানের অভিবাসন ব্যুরো জানিয়েছে।
ইতিপূর্বে স্থায়ী বসবাসের আবেদনের ক্ষেত্রে দেশটিতে ন্যূনতম ১০ বছর থাকতে হতো। মূলত ২০১২ সালে জাপান সরকার ওই নিয়মটি বদলে ‘পয়েন্ট সিস্টেম’ চালু করেছে। তখন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম থাকার সময় কমিয়ে ৫ বছর করা হয়।
সম্প্রতি দেশটির বিচার বিভাগ তিন বছর পূর্বের ওই নিয়মটি সংস্কারের ঘোষণা দেয়। এতে ডক্টরেট পাওয়া বিদেশীদের জন্য ৩০ ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারীদের জন্য ২০ পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিক্ষক, গবেষক বা অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রে পেশাজীবীরা জাপানে ৩ থেকে ৭ বছর কাজ করলে ৫ হতে ১৫ পয়েন্ট অর্জন করবেন।
শুধু তাই নয়, অন্তত ৪টি বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনকারী বিদেশীরা পাবেন ২০ বোনাস পয়েন্ট। সেইসঙ্গে জাপানি ভাষায় দক্ষতা থাকলে পাওয়া যাবে আরও ১৫ পয়েন্ট।
সবগুলো পয়েন্ট যোগ করে ৭০ পয়েন্ট হলে ৩ বছর জাপানে বসবাস করছেন এমন বিদেশীরা স্থায়ী হওয়ার আবেদন করতে পারবেন। ৮০ পয়েন্টধারীদের ক্ষেত্রে এই সুযোগ পাবেন এক বছরেই। এই নীতি বাংলাদেশীদের জন্যও সুযোগ বয়ে আনবে বলেও মনে করছেন অনেকেই।
উল্লেখ্য, জাপানে ১০ হাজারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশী রয়েছেন যাদের মধ্যে দীর্ঘদিন বসবাস করে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন অনেকেই।