দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বয়স হয়েছে ৫১ কিন্তু তার উচ্চতার চাকা ঘোরেনি একদমই। বয়স এতো হলেও এখন সেই ২ ফুট ১১ ইঞ্চিই রয়ে গেছেন!
প্রতিবন্দি সৈয়দা বিথি খাতুনের কাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলায়। পলাশবাড়ির পিয়ারী মার্কেটে জমজম টেইলারিং হাউসে নিজের পোশাক তৈরির জন্য বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে ২ ফিট ১১ ইঞ্চির শরীরে সাজুগুজু করে এসেছেন প্রতিবন্দি সৈয়দা বিথি খাতুন। সৈয়দা বিথি খাতুনকে দেখতে তৎক্ষণাত সর্বস্তরের উৎসুক জনতার ভীড় শুরু হয়।
জানা যায়, সাদুল্যাপুর উপজেলার ১১ নং খোদ্দকমরপুর ইউনিয়নের তরফজাহান গ্রামের লিকপাড়ার মৃত- সৈয়দ জয়নাল আবেদীন এবং মাতা সৈয়দা জেবা আকতার ওরফে রুমি বেগমের কন্যা হলেন সৈয়দা বিথি খাতুন।
সৈয়দা বিথি খাতুন ১১ নং খোদ্দকোমরপুর ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত শাররিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্দি ভাতাভোগী। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা হয় সৈয়দা বিথি খাতুনের মা সৈয়দা জেবা খাতুনের সঙ্গে।
তিনি জানান, তার কন্যা শুধুমাত্র প্রতিবন্দি ভাতা পান যা দিয়ে আমার কন্যার জীবন যাপনে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমি যতোদিন বেঁচে আছি ততোদিন চিন্তা করি না। তবে আমার স্বামীর মতো আমি যেদিন চলে যাবো না ফেরার দেশে সেদিন আমার কন্যাকে কে দেখবে, ওর কপালে কি ঘটবে, ভেবে আমি আরো অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমি ওর জন্য আপনাদের কাছে দোওয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি। সৈয়দা বিথি খাতুন এর স্বাভাবিক জীবনযাপনের লক্ষ্যে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ দেশে এবং জেলার বৃত্তশালী ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।