দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফাটল ধরা ভবনের প্লাস্টার খসে ২ জন আহত হয়েছে তারপরও ঝুঁকিপূর্ণ সেই ভবনেই ক্লাস চলছে! অথচ যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক কোন দুর্ঘটনা। ঘটনাটি পাবনার বেড়া উপজেলার বেড়া বিবি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
চারদিকে ভবন ধসে হাজার হাজার মানুষ আহত ও নিহত হচ্ছে, বহু ভবন হেলে পড়ছে- এমন সব ঘটনার পরও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ব্যবহার করা হচ্ছে। তারপরও সেইসব মৃত্যুপুরিতে মানুষের অবাধ বিচরণ ঘটছে প্রকাশ্যেই! এমন খবরও আমাদের পড়তে হচ্ছে। যখনই কোন দুর্ঘটনা ঘটে তখন সংশ্লিষ্ট সকলের টনক নড়ে। তখন তদন্ত কমিটি এই করতে হবে.. ওই করতে হবে.. কিন্তু অন্য সময়গুলোতে এমন অবস্থা দাঁড়াই মনে হয় সব ঠিকঠাক রয়েছে! আর এ কারণেই ঘটছে বার বার বড় বড় দুর্ঘটনা। সাধারণ মানুষকে জীবন দিতে হচ্ছে। পঙ্গুত্ববরণ করতে হচ্ছে বহু মানুষকে।
মাস খানেক আগে বেড়ার ওই বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে শ্রেণীকক্ষের ছাদ থেকে প্লাস্টার খসে আহত হয় মেহেদী হাসান ও রাকিব নামের দুই ছাত্র। সেদিনের পর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ওই দু’জনসহ সকলের মধ্যে। মেহেদী বলে, ‘ক্লাসরুমে আমরা খুব ভয়ে থাকি আর বার বার ছাদের দিকে তাকাই। এই রুমে আমাদের কারোরই ক্লাস করতে ইচ্ছা করে না।’
বিদ্যালয়ের ৫ কক্ষবিশিষ্ট একটি ভবন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মেহেদীর মতো কোনো শিক্ষার্থীরই সেখানে ক্লাস করতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু বাড়তি শ্রেণীকক্ষ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে সেখানেই চলছে পাঠদান। ছাদ থেকে প্লাস্টার খসে পড়ায় এই ভবনে দু’বছরে একাধিক শিক্ষকসহ ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৬৯ সালে বিদ্যালয়ের এই ভবনটি নির্মিত হয়। নির্মাণের পর থেকে আজ পর্যন্ত এই ভবনটির তেমন কোনো সংস্কার হয়নি। বছর দশেক আগে এ ভবনের বিভিন্ন কক্ষের ছাদ ও দেয়ালে ফাটল দেখা দিতে শুরু করে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে বছর বছর তা বাড়তেই থাকে। গত দুই-তিন বছর ধরে এ ভবনটি হয়ে উঠেছে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
৩০ এপ্রিল বেড়া পৌর কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে পরিদর্শন করে ভবনটি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায় সেখানে ৪৯০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বাড়তি শ্রেণীকক্ষ না থাকায় নিরুপায় হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতেই ক্লাস নেয়া হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদৎ হোসেন বলেন, ভবনটির ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার কথা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে স্থানীয় সংসদ সদস্য, মন্ত্রী সবাইকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারপর কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
বেড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত মেরামত করা না হলে যেকোনো সময় সেখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ভবনটি পুনর্র্নিমাণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
শুধু চিঠি লিখে দায়িত্ব সেরে বসে আছেন সবাই। কিন্তু এই ভবনে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে কত তাজা প্রাণ নি:শ্বেষ হয়ে যাবে সেটি চিন্তাও করা হচ্ছে না। এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা জরুরি ভিত্তিতে ভবনটি ভেঙে ফেলে পুননির্মাণ অথবা সংস্কার করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছে। তথ্যসূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক।
This post was last modified on মে ২৫, ২০১৩ 12:37 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…