দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ খেলায় বিশেষ করে ক্রিকেট খেলায় মেতে আছে। দেশের আনাচে কানাচে শুধুই ক্রিকেট খেলা। কিন্তু হঠাৎ করে ক্রিকেটের বরপুত্র মাশরাফির টি২০ থেকে বিদায়ের প্রশ্নে সকলের মনেই প্রশ্ন মাশরাফি কেনো যেতে চাইছেন?
টি২০ থেকে মাশরাফির চলে যাওয়ার ঘোষণা কেও মানতে চাইছেন না। সবার মুখে একই কথা কেনো চলে যাবেন মাশরাফি। বর্তমান যুগটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য স্বর্ণযুগ বলা যায়। অথচ সেই স্বর্ণযুগের সময় যদি সেই স্বর্ণের কারিগররা না থাকেন তাহলে কি করে চলে?
দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের মনে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কি কারণে হঠাৎ করে নেতৃত্বে থাকা মাশরাফি সরে যেতে চান? এর পিছনে কি কোনো কাহিনী লুকিয়ে আছে? যদি সত্যিই কোনো কাহিনী থাকে তাহলে সেটি কী? এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনেই।
বাংলাদেশের ক্রিকেট বর্তমানে বিশ্বের কোন স্তরে অবস্থান করছে তা নতুন করে বলার কিছু নাই। বিশ্বের অনেক বড় বড় ক্রিকেট দলও এখন বাংলাদেশকে গুণছে। বাংলাদেশের খেলাকে তারা সমীহ করছে। অথচ সেই খেলার আজ এমন এক পর্যায়ে এসেও কেনো নানা প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কী এর পিছনেও কোনো অশুভ শক্তি কাজ করছে?
কারণ আমরা আগেও দেখেছি। বাংলাদেশের ক্রিকেট যখন এগিয়ে যাচ্ছে দুর্দান্ত গতিতে ঠিক তখন নানার রকম বিদেশী ষড়যন্ত্র মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। যেমন রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা-মোকাদ্দমা হয়, ক্রিকেটার শাহাদাতের বিরুদ্ধে মামলা হয়। অপরদিকে তাসকিনসহ কয়েকজন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে। এমন আরও অনেক কারণ রয়েছে। যার মধ্যে সত্যিই ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যায়।
বাংলাদেশকে ঠেকানোর জন্য বিশেষ করে আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ভারতও কম ঈর্ষা করেনি। বারংবার নানাভাবে বাংলাদেশকে থামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশ থেমে নেই। এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। আর সেই চলার পথ থামানোর সাধ্য মনে হয় কারও নেই, কোনো দিন সাধ্য হবেও না; এটা প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায়।
যদি মাশরাফির বিষয়টি আভ্যান্তরীণ কোনো বিষয় না হয়ে থাকে তাহলে ভালো কথা। যদি সত্যিই আভ্যন্তরীণ কাহিনী থেকে থাকে তাহলে আমাদের ক্রিকেটে যারা সর্বোচ্চ মহলে আছেন তাদেরকে নতুন করে ভাবতে হবে। শক্ত হাতে বিষয়টি সমাধা করতে হবে। নইলে ক্ষতিটা আমাদেরই হবে। অর্থাৎ ক্রিকেট নিয়ে আমরা আজ যে পর্যায়ে এসেছি সে পথ আরও কঠিন হয়ে যাবে। তাই সময় থাকতে ক্রিকেটের কর্তা ব্যক্তিদের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে এবং প্রয়োজনীয় বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নিতে হবে। তা নাহলে আমাদের ক্ষতি দেখে অনেকেই “বোগল বাজাবে”। নিশ্চয়ই আমরা কেওই তা চাইবো না।