দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হঠাৎ যদি আপনি শোনেন একটি পাতি লেবুর দাম ২৭ হাজার টাকা তাহলে আপনার অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। কিন্তু আসলেও তাই একটি পাতি লেবুর দাম ২৭ হাজার টাকা! কিন্তু কেনো?
সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে জানা যায়, ভারতের তামিল নাড়ুর ভিল্লুপুরম জেলার একটি মন্দিরে সম্প্রতি বিশেষ একটি পাতি লেবু বিক্রি হয়েছে ২৭ হাজার টাকায়!
কী বিশেষত্ব রয়েছে এই লেবুর? কেনই বা এমন আকাশছোঁয়া দাম একটি লেুব? কারণ হিসেবে জানা যায়, প্রতিবছর ভিল্লুপুরমের তিরুভানাইনাল্লুর গ্রামের বালা থান্ডায়াউথা পানি মন্দিরে ১১ দিনব্যাপি আয়োজিত হয় পাঙ্গুনি উথিরাম উৎসব। সেই অনুষ্ঠান উপলক্ষে উৎসবের প্রথম ন’দিনে প্রতি দিনই মন্দিরের আরাধ্য দেবতা মুরুগার বিগ্রহের হাতে থাকা ত্রিশূলে বিদ্ধ করা হয় একটি করে পাতিলেবু। উৎসবের শেষ দিনে সেই ত্রিশূল-বিদ্ধ লেবুগুলোই নিলামে বিক্রি হয়। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই লেবু নিজের কাছে রাখা বিশেষ সৌভাগ্যজক ব্যাপার।
আসলে কী ধরনের সৌভাগ্য সূচিত হয় এই বিশেষ লেবুটি বাড়িতে রাখলে? তিরুভানাইনাল্লুর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা বলেছেন, প্রধানত আর্থিক স্বচ্ছলতা চলে আসে এই ‘পয়া’ লেবুর প্রভাবে। এছাড়া এই লেবু বাড়িতে রাখলে সন্তানহীন দম্পতিরা সন্তান লাভ করতে সক্ষম হন।
সে কারণে ভক্তদের মধ্যে প্রতিবছরই ত্রিশূল-বিদ্ধ লেবুগুলিকে বিক্রি করে মন্দির কমিটি। এই বছর ন’দিনের ন’টি লেবু বিক্রি করে মন্দির কমিটি মোট ৬৮ হাজার টাকা উপার্জন করেছে। লেবুগুলির মধ্যে প্রথম দিনে ত্রিশূলে বেঁধা হয় যে লেবুটিকে, সেটিই সবচেয়ে সৌভাগ্যসূচক বলে মনে করা হয়ে থাকে। সেই লেবুটিই বিক্রি হয়েছে ২৭ হাজার টাকায়। কিনেছেন ওট্টানান্থাল নিবাসী দম্পতি জয়ন্তী ও মহালিঙ্গম।
এই দম্পতি কি তাহলে সন্তানহীন? ‘না’, জানানিয়েছেন ওট্টানান্থলের এক প্রবীণ। ‘তাঁরা লেবুটি কিনেছেন পরিবারের সামগ্রিক স্বাস্থ্যোন্নতির লক্ষ্যে।’ মন্দির কমিটির তরফ হতে জানা যায়, গত বছর পাঙ্গুনি উথিরাম উৎসবের প্রথম দিনের লেবুটি বিক্রি হয়েছিল ৩৯ হাজার টাকায়!
তিরুভানাইনাল্লুরের এক প্রবীণ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, চল্লিশ বছর আগেও এই লেবুগুলি বিনাপয়সায় বিলি করতো মন্দির কমিটি। তবে এখন যুগ বদলেছে। এখন নিছক ‘বিশ্বাসে’ দৈবানুগ্রহ লাভ করা যায় না, প্রয়োজন হয় অর্থের!