দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের মনোবিজ্ঞানীদের একটি দল দাবি করে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প গুরুতর মানসিক রোগে আক্রান্ত এবং তিনি দেশ চালানোর অযোগ্য। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
মনোবিজ্ঞানীদের এমন দাবি কেনো? সেই প্রশ্নে মনোবিজ্ঞানী জন গার্টনার বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকার পক্ষে কতোটা বিপজ্জনক, সে কথা জনসাধারণকে জানানো খুবই প্রয়োজন’।
মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে ৩৫ সদস্যের মনোবিজ্ঞানী এই দাবি করে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিপদজনক মানসিক পরিস্থিতিতে রয়েছেন। তাছাড়াও অ্যান্টিসোশ্যাল পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডারও রয়েছে তাঁর। তিনি ভীষণভাবে আত্মকেন্দ্রিক। হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে তার মধ্যে, যেটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে একবারেই থাকা উচিত নয়।’
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী জেমস গিলিগান বলেন, ‘প্রকৃতঅর্থেই ডোনাল্ড ট্রাম্প সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন।’
জেমস গিলিগান অারও বলেন, ‘এই সাধারণ ব্যাপারটি বোঝার জন্য কাওকে মনোবিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নাই বা পঞ্চাশ বছর ধরে মনোবিজ্ঞান অধ্যয়নেরও কোনো দরকার নাই।’
আরেক মনোবিজ্ঞানী জুডিথ হারমান মনে করেন যে, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে মানসিক সমস্যা রয়েছে, সেটি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার কার্যক্রম দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষই বলে দিতে পারবেন যে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই পদে থাকার যোগ্য নন।’
অবশ্য মনোবিজ্ঞানীদের এমন বক্তব্য প্রকাশের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য এখন পাওয়া যায়নি।