দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিষিদ্ধের তালিকায় উঠে এসেছে মজাদার খাবার। এমন কথা আমরা আগে কখনও শুনিনি। তবে এমন বিস্ময়কর নিষিদ্ধ তালিকার কথা শোনা গেছে কয়েকটি দেশে!
একটি দেশে অনেক রকম বিধিনিষেধ থাকে। এই কাজ করা যাবে না, ওই কাজ করা যাবে না, এভাবে নানা রকম বিধিনিষেধ থাকে। তবে এবার শোনা গেলো একটু ব্যতিক্রমি বিধিনিষেধ। আর তা হলো মজাদার সব খাদ্য সামগ্রীর কথা। তাহলে কেনো এমন মজাদার খাদ্য নিষিদ্ধ হলো? কিইবা সেসব খাদ্য? আসুন আজ জেনে নেওয়া যাক।
অনেক সুস্বাদু খাবার খাওয়ার জন্য টমেটো সসের প্রয়োজন পড়ে। ছোট-বড় প্রায় সবার পছন্দ এই টমেটো সস। অথচ এই মজাদার জিনিসটি ফ্রান্সে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেনো এমন একটি সুস্বাদু খাদ্য নিষিদ্ধ করা হলো? বলা হয়েছে টমেটো সসের কারণে যাতে খাবারের স্বাদ নষ্ট না হয়ে যায় সে জন্যই মূলত ফ্রান্স সরকার ২০১১ সালে টমেটো কেচাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ফ্রান্সের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টমেটো কেচাপ নিষিদ্ধ করা হয়।
আমরা জানি সমুচা একটি সুস্বাদু খাদ্য। আমরা সব সময় এটি খেয়ে থাকি। অথচ এই সমুচা নিষিদ্ধ সোমালিয়ায়। এই মজাদার খাবারটি নিষিদ্ধ হওয়ার কারণও আবার বেশ অদ্ভুত। সমুচার চেহারার সঙ্গে নাকি দেশটির সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘আল-শাবাব’-এর চিহ্নের সঙ্গে মিলে যায়। সে কারণেই ২০১১ সালে সোমালিয়ায় সমুচা নিষিদ্ধ করা হয়েছে!
আমরা সবাই জানি চকলেট বাচ্চাদের অত্যন্ত পছন্দের একটি খাবার। তবে এতে বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। তাই বিশাল আকারের চকলেট কিন্ডার এগস নিষিদ্ধ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। মূলত স্বাস্থ্যগত সচেতনতার জন্যই ১৯৩৮ সালে নিষিদ্ধ করা হয়। কারণ দেশটির সরকার মনে করে, এই বিশাল আকৃতির চকলেট বাচ্চাদের স্বাস্থ্যর জন্য খুব ক্ষতিকর।
চুইংগাম বাচ্চাদের একটি জনপ্রিয় খাবার হলেও সিঙ্গাপুরে চুইংগাম নিষিদ্ধ। কারণ হলো সিঙ্গাপুর পরিষ্কার পরিচ্ছনাতার জন্য বিখ্যাত একটি দেশ হিসেবে খ্যাতি রয়েছে। মানুষ চুইংগাম চিবুনোর পর তা যেখানে সেখানে ফেলে পরিবেশ নোংরা করে বলেই ১৯৯২ সালে সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ করা হয় চুইংগাম।
যুক্তরাষ্ট্রের ২২টি রাজ্যে ও কানাডায় কাঁচা দুধ এবং ডেইরি পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ। এই নিষেধাজ্ঞাটির প্রকৃত কারণ হলো এই পণ্যগুলিতে উপস্থিত যেসব কীটনাশকগুলি থাকে, সেগুলো লিস্টারিয়াসিস, ই-কোলি ও খাদ্যে বিষক্রিয়াও হতে পারে।
ভারতে বসবাসরত মানুষের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ভারতের বহু স্থানে গরুর মাংস নিষিদ্ধ।
স্কটল্যান্ডের বিখ্যাত একটি খাবার হলো এই হ্যাগিস। এই খাবারটি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ। এটি মূলত ভেড়ার হৃৎপিণ্ড, লিভার এবং ফুসফুসের সঙ্গে বিভিন্ন মসলা মিশিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। এই হ্যাগিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি নিষিদ্ধ খাদ্য।
This post was last modified on এপ্রিল ৯, ২০১৮ 8:57 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দিনের বেলায় ঘুমানোকে আমরা ভাত ঘুম বলে থাকি। তবে দিনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডিপিএস এসটিএস সিনিয়র স্কুল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হয়েছে ডিপিএস এসটিএস স্কুল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক অ্যান্ড চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২৩- এর…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি দেশের জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রীর ছোটবেলার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছবিতে লুকিয়ে রয়েছে একটি কাঁচি। তবে এই কাঁচির প্রতিকৃতিটি এই…