দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিশরেরর পিরামিড নিয়ে যেনো গবেষণার শেষ নেই। বিশ্ব ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা এই পিরামিড। মিশরের এই পিরামিড দেখার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত হতে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসেন। যেনো এক বিস্ময়কর বিষয়। এবার মিশরের পিরামিডে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে!
যতো দিন গড়াচ্ছে ততোই যেনো রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে মিশরের গিজা পিরামিডকে ঘিরে। এর ভিতরে নাকি লুকিয়ে রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি! তারই সন্ধানে উঠে পড়ে লেগেছেন গবেষকরা। তারা দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন।
এবার প্রত্নতত্ত্ববিদরা দাবি করছেন যে, মিশরের দ্য গ্রেট গিজা পিরামিডের ভিতরে রয়েছে অনেক রহস্য। এখানে নাকি রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ!
৪ হাজার বছরের পুরনো ৪৭৯ ফিট উঁচু এই গিজা পিরামিড। বিশ্বের সর্বাধিক প্রাচীন ধারার পিরামিড বলা হয় এটিকে। পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে এর রহস্যই সবথেকে নাকি বেশি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আনতেই এবার কোমর বেঁধে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। শুরু হয়েছে স্ক্যাণ পিরামিড নামে এক বিশেষ গবেষণা মিশন।
এই গিজা পিরামিডটি আসলে বেশি পরিচিত খুফু পিরামিড নামেই। এই পিরামিডের রহস্য উন্মোচনের কাজ শুরু হয়েছে। একটি গোপন কক্ষ রয়েছে এমন দাবি করে বিজ্ঞানী মেহদি তায়োবি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, এখন সেই গোপন কক্ষটি খুঁজে বের করার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের সেই খোঁজপ্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা হচ্ছে থার্মোগ্রাফি। তাপের সাহায্যে পিরামিডের ভেতরে কোথায় কি রয়েছে, তার সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা। এই পিরামিডে আরও একটি চেম্বার রয়েছে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এখন পর্যন্ত সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনও তথ্য তারা পাননি।
মিশরের কনিষ্ঠতম ফ্যারাও তুতেনখানের মমি আবিষ্কারের পাশাপাশি, উদ্ধার করা হয়েছিল বিপুল সম্পত্তি। ঠিক একইভাবে রানি নেফারতিতির সমাধিও আবিষ্কৃত হবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। ফ্যারাও আকেনাতেনের স্ত্রী নেফারতিতি জীবিত থাকাকালীন খুব শৌখিন ছিলেন বলে ইতিহাস ঘেটে জানা যায়। আর তাই গবেষকরা ঠিক সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন।
সে কারণে তার সমাধিস্থলেও থাকতে পারে গোপন কোনো কক্ষ, যেখানে হয়তো লুকিয়ে রয়েছে মূল্যবান অনেক সম্পদ। তারই সন্ধানের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা। তাদের বিশ্বাস তাদের গবেষণায় বেরিয়ে আসবে আরেক ইতিহাস; যা কখনও জানা যায়নি।