দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাপানের হিরোশিমায় আনবিক বোমা হামলার কথা আমরা সকলেই জানি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই নারকীয় কাহিনী আমরা ক্লাসের বইতেও পড়েছি। যে পরমাণু বোমার আঘাতে কেঁপে উঠেছিল হিরোশিমা। সেখারকার গাছ-গাছালি থেকে শুরু করে সব কিছুই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও বেঁচে ছিল একটি গাছ!
পরমাণু বোমায় কেঁপে ওঠা হিরোশিমাকে এখনও মনে আছে মানুষের। ১৯৪৫ সালের এই বিস্ফোরণের হিরোশিমাতে প্রায় ১৪০,০০০ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। ওই বিস্ফোরণের প্রতিক্রিয়ায় হওয়া রোগে হিরোশিমায় পরবর্তীতে আরও ২৩৭,০০০ জনের মৃত্যু ঘটে। হিরোশিমার এমন কিছু অবাক করা তথ্য রয়েছে, যা সেভাবে প্রকাশ্যে আসেনি কখনও।
জেনে নিন কিছু অজানা তথ্য:
পারমাণবিক হামলার পূর্বে ৪৯টি প্র্যাকটিস বোম ফেলেছিল আমেরিকা। যার জন্য মৃত্যু হয়েছিল ৪০০ জনের। আহত হয়েছিল প্রায় ১২০০ মানুষ।
জাপানের হিরোশিমায় ১৯৬৪ হতে জ্বালানো হয়েছে The Flame Of Peace. পরমাণু বোমা আক্রান্তদের স্মরণ করতেই জ্বালানো হয়েছে এই আগুন। যতোদিন পর্যন্ত বিশ্ব হতে পরমাণু অস্ত্রের অস্তিত্ব শেষ না হবে, ততোদিন ধরে জ্বালতে থাকবে এই আগুন।
জানা যায়, হিরোশিমায় বোমাবর্ষণের পর সেখানকার এক পুলিশ কর্মকর্তা নাগাসাকিতে যান। সেখানকার পুলিশকে এই হামলার কথা জানানো হয়। তার ফলেই নাগাসাকিতে বিস্ফোরণে কোনও পুলিশ অফিসারের মৃত্যু ঘটে।
হিরোশিমা বিস্ফোরণে বেঁচে যান সুতোমু ইওয়ামাগুচি নামে জনৈক ব্যক্তি। এরপর নাকি ঠিক সময়ে কাজে যোগ দিতে ট্রেন ধরে যান নাগাসাকিতে। ৯ অগোস্ট সেখানার বিস্ফোরণেও প্রাণে বেঁচে যান ওই ব্যক্তি।
হিরোশিমার প্রধান ফুল ওলিয়ান্ডার। এর কারণ হলো হিরোশিমার বিস্ফোরণের পর প্রথম এই ফুলটিই আবার নতুন করে ফুটতে শুরু করেছিল।
এনোলা গে’ নামক পারমাণবিক বোমাবাহী যুদ্ধবিমান যেটি হিরোশিমা অভিযানে গিয়েছিল, তার মধ্যে থাকা ১২ জন সদস্যের মাত্র ৩ জন এই অভিযানের প্রকৃত কারণ জানতেন।
আশ্চর্য এক গাছ প্রায় ২৭ কোটি বছরের পুরনো গাছ যার নাম গিংকো বিলোবা। এই গাছ খুব কমই রোগে আক্রান্ত হয়। বাঁচেও বহুদিন। হিরোশিমা বিস্ফোরণের পরও এই গাছই একমাত্র জীব, যা বিস্ফোরণের পরেও বেঁচে ছিল!