দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা যখন তখন ব্যবহার করি হেডফোন। কিন্তু এর ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্পর্কে আমাদের তেমন একটা ধারণা নেই। বিষেশজ্ঞরা বলেছেন, হেডফোন ব্যবহারে শ্রবণ জটিলতাসহ মস্তিষ্কের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে!
সারাবিশ্বে দিন দিন প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে। সেইসঙ্গে আমাদের জীবন হয়ে উঠছে আরামদায়ক আবার কখনওবা ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমান সময়ে সবখানেই আমরা হেডফোন ব্যবহার করে থাকি। এমনকি রাস্তায় বের হয়েও কানে হেডফোন গুঁজে গান শোনাএখন একটি ফ্যাশানে পরিণত হয়েছে।
তবে বিজ্ঞানের এই আশির্বাদই মাঝে মধ্যেই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। হেডফোনও তেমনই একটি প্রযুক্তি যা ব্যবহারের কারণে বেশকিছু শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। ছোট্ট এই গেজেটটি ছোট-বড় সবাই ব্যবহার করলেও এর পার্শপ্রতিক্রিয়া ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরা একেবারেই ওয়াকিবহাল নই। আজ চলুন জেনে নেওয়া যাক হেডফোনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি সে সম্পর্কে।
হেডফোন ব্যবহারের কারণে শ্রবণ জটিলতা হতে পারে। আপনি যখন হেডফোন কিংবা ইয়ারফোন ব্যবহার করেন তখন অডিও সরাসরি আপনার কানে যায়। ৯০ ডেসিবেল কিংবা তার থেকেও বেশি মাত্রার শব্দ যদি আপনার কানে যায়, তাহলে আপনার শ্রবণ জটিলতা ঘটাতে পারে। এমনকি আপনি চিরতরে শ্রবণ ক্ষমতাও হারাতে পারেন। শুধু তাই নয়, ১০০ ডেসিবলের উপর মাত্র ১৫ মিনিট এয়ারফোন ব্যবহার করলেই আপনার শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
একটি হেডফোন কেবলমাত্র একজনেরই ব্যবহার করা উচিৎ। তবে আমরা একটি এয়ারফোন একাধিক ব্যক্তি, দুজন মিলে একসঙ্গে শেয়ার করে থাকি। এতে কানে ইনফেকশনের সম্ভাবণা থেকে যায়। কারণ হলো এয়ারফোনের মাধ্যমে একজনের কানের জীবাণু অন্যজনে বাহিত হতে পারে। সুতরাং এয়ারফোন কখনও শেয়ার করবেন না। করলে অবশ্যই ব্যবহারের পূর্বে জীবাণুনাশক ব্যবহার করে নিতে হবে।
হেডফোনের কারণে আপনার মস্তিষ্কের উপর পড়তে পারে খারাপ প্রভাব। হেডফোনের দ্বারা সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ আপনার মস্তিষ্কের জন্য চরম বিপদ ডেকে আনতে পারে। যারা ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহার করেন তারা আরও বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। কান সরাসরি মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত। সে কারণে হেডফোন সরাসরি আপনার মস্তিষ্কে আঘাত হানে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এটি বাতাস প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। বর্তমানে কিছু এয়ারফোনে চমৎকার শব্দ দিলেও তার স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে অনেক বেশি। এসব এয়ারফোন এয়ারক্যানেল পর্যন্ত প্রবেশ করে অনেক সময়। এতেকরে আপনার কানের ভিতর বায়ু প্রবেশ করতে পারে না। যে কারণে ইনফেকশনের সম্ভাবনা থেকে যায়।
এয়ারফোন ব্যবহারের কারণে শ্রবণশক্তির জড়তা বৃদ্ধি পায়, কিছু সমীক্ষা হতে এই তথ্য উঠে এসেছে। জানা যায়, যারা এয়ারফোন ব্যবহার করে উচ্চ শব্দে মিউজিক শুনে থাকেন তাদের কানে ক্রমেই জড়তা চলে আসে। এই জড়তা স্বাভাবিক মনে হলেও দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চস্বরে মিউজিক বাজালে শ্রবণশক্তির ক্ষতি হতে পারে।
এয়ারফোন ব্যবহারের কারণে কানে ব্যাথা হতে পারে। যারা অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার করেন তারা সাধারণত এই ধরনের সমস্যায় ভোগেন। মাঝে মাধ্যে কানের ভেতরে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ হয়। এটিও স্থাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
This post was last modified on জুলাই ৭, ২০২১ 6:27 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে চামড়ায় টান ধরা নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে সমস্যা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অসতর্কতাবশত: হাত থেকে পড়ে গেলেও ফোনের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওজন কমাতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করা যাবে না, কারণ তাড়াহুড়া করলেই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের অন্যতম ওটিটি প্লাটফর্ম আইস্ক্রিনে স্ট্রিমিং হতে চলেছে সুপারস্টার শাকিব…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে ফ্ল্যাট উপহার নেওয়া, সাংবাদিককে হুমকি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাতিশালের মধ্যে ঘুমোচ্ছে পুচকে একটি বাচ্চা হাতি। শাবকের ঘুম ভাঙাতে…