দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জীবন্ত কবর দেওয়ার কথা আমরা গল্পে শুনেছি। বাস্তবে এমনটি ঘটে না। তবে মাঝে মধ্যে দেখা যায় মৃত মনে করে কবর দেওয়ার ঘটনা। তবে আজকের এই ঘটনাটি একেবারেই ব্যতিক্রমী ঘটনা।
ঘটনাটি এমন। সাইবেরিয়ার অধিবাসী নাতালিয়া প্রায়ই তার পোষা কুকুরটিকে নিয়ে জঙ্গলের হাঁটতে বের হতেন। ২০১৫ সালের মে মাসের এক বিকেলে তিনি বার্চ গাছের রস সংগ্রহ করতে একাই বেরিয়ে পড়েছিলেন। হঠাৎ সেদিন নাতালিয়াকে আক্রমণ করে বসে এক ভাল্লুক । থেঁতলে দেয় তার দুটি পা। এক পর্যায়ে হাতাহাতিও চলে তাদের মধ্যে। তবে নাতানিয়া পরাজিত হয় ওই ভাল্লুকের কাছে।
অবশেষে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। তবে নাতালিয়া এখনও বেঁচে আছে সেটুকু হয়তো বুঝতে পেরেছিল ভাল্লুকটি। পরে খাওয়া যাবে মনে করে মাটিতে গর্ত খুঁড়ে নাতালিয়াকে পুতে রাখে সে। মারাত্মক আহত নাতালিয়ার জ্ঞান ফিরে আসলেও তিনি বুঝতে পারছিলেন না কী করা উচিত।
তিনি বুঝলেন জঙ্গলের মধ্যে চিৎকার করে কাওকে ডেকেও কোনো লাভ হবে না। তাছাড়া চিৎকার-চেঁচামেচির কারণে যদি ভাল্লুকটিই ফিরে আসে, সেই ভয়ে চুপ করে পড়ে থাকেন তিনি। কবরের মাটি কিছুটা সরিয়ে বাতাস ঢোকার রাস্তা বের করে নেন। এভাবে কেটে যায় তার এক রাত।
পরদিন ওই জঙ্গলে শিকার করতে আসে একদল শিকারি। তারা নাতানিয়াকে উদ্ধার করে। অন্যদিকে ভাল্লুকটি শিকারিদের হাতে বন্দি হয়। সেদিন শিকারীদের জন্য এভাবেই নাতানিয়া ফিরে পেয়েছিলো নতুন এক জীবন। মনে গিয়েও যেনো বেঁচে গেলেন নাতানিয়া।