দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে কবর দেওয়া ৪০ ফুট লম্বা একটি তিমিকে কবর হতে তোলা হয়েছে। গত সপ্তাহে নিউ সাউথ ওয়েলসে জেলেদের জালে আটকে আহত অবস্থায় ধরা পড়ে এই তিমিটি। ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে তিমিটি উঠানো হলো।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সমুদ্রে আহত এবং বিপন্ন প্রাণী উদ্ধারকারী একটি সংগঠন বলেছে, তিমিটি ১৩ শত কিলোমিটার দূরে তাসমানিয়ায় জালে আটকা পড়েছিল।
জানা যায়, তিমিটি মারা যাবার পর মাছটির আকৃতির কারণে এটিকে সৈকতেই কবর দেওয়া হয়। তবে বিপত্তি বাধে তখন, যখণ তিমিটির লাশ অন্য কোথাও সরিয়ে নিতে হবে- এমন দাবি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা হঠাৎই বিক্ষোভ শুরু করে তখন।
স্থানীয়দের আশংকা তিমির এই কবরের কারণে বছরের পর বছর ধরে ওই সৈকতে হাঙ্গর হানা দেবে। তাতে বিপন্ন হবে সমুদ্রের তীর ঘেষা স্থানীয়দের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড ও জীবন যাত্রা।
অবশ্য কর্তৃপক্ষ এই আশংকা উড়িয়ে দিয়েছে, তাদের বক্তব্য হলো, এমন আশংকার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তবে তা সত্ত্বেও যেহেতু অনেক মানুষ এর বিপক্ষে, সে কারণেই কর্তৃপক্ষ তিমিটিকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা যায়, নোবি সৈকত সংলগ্ন তিন হাজারের বেশি বাসিন্দার দায়ের করা এক পিটিশনের প্রেক্ষাপটে শেষ পর্যন্ত গত সোমবার কর্তৃপক্ষ তিমিটির লাশ কবর হতে উত্তোলন করতে বাধ্য হয়েছে।
জানা গেছে, বিশাল এই তিমিটি সরানোর জন্য পুরাকীর্তি স্থাপনায় মাটি খোঁড়ার কাজে যেসব বিশাল যন্ত্র ব্যবহার করা হয়ে থাকে তেমন যন্ত্র কাজে লাগানো হয়েছে।
বিশাল এই তিমিটিকে কয়েক টুকরো করে কেটে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তিমিটির মরদেহ। এই কাজে খরচ করা হয়েছে ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, এই তিমিটি ছিল হাম্পব্যাক জাতের। এই জাতের তিমি প্রতিবছর এন্টার্কটিকা হতে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে।