অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া – এই দুই অভিনয় শিল্পীকে দেখেই সব সময় মনে হয় তারা একে অপরের জন্যই এসেছেন এই পৃথিবীতে। দাম্পত্য জীবনের রসায়ন এবং জনপ্রিয়তায় সবার ঈর্ষার প্রতীক বলিউড সাম্রাজ্যের এই সেলিব্রিটি দম্পতি। আজ ৩ জুন এই দম্পতির ৪০ তম বিবাহবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে বিগ বি অর্থাৎঅমিতাভ বচ্চন আয়োজন করেছেন এক অনাড়ম্বর পার্টির।
‘গুড্ডি’ ছবিতে জয়া কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং অমিতাভও নবাগত হিসেবে এই ছবিতে জয়ার সাথে জুটি বাঁধেন। সম্ভবত এই ছবিতে কাজ করতে এসেই তাদের মাঝে প্রণয় বাসা বাঁধে এবং ব্লকবাস্টার ছবি ‘জান্জীর‘ মুক্তি পাবার পরেই ১৯৭৩ সালের ৩ জুন তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহিত জীবনের ৩৯টি বসন্ত পেরিয়ে আজ ৩ জুন ৪০তম বসন্তে পা দিলেন বলিউড সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চন এবং অভিনেত্রী জয়া বচ্চন।
অমিতাভ বচ্চনের বিয়ে সম্পর্কিত স্মৃতিচারণে জানা যায়, ১৯৭৩ সালে অমিতাভ ও জয়ার জান্জীর ছবিটি মুক্তি পেয়েছিলো। ঐ সময় তাদের পরিকল্পনা ছিলো যদি ছবিটি হিট হয়, তবে তারা এবং তাদের কাছের বন্ধু-বান্ধব লন্ডনে বেড়াতে যাবেন। এরপর ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফলতার মুখ দেখে, চলতে থাকে লন্ডনে যাওয়ার পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। ভারতীয় সংস্কৃতিতে নিয়ম আছে কোথাও কিছু করার আগে মা-বাবার অনুমতি নেওয়া। অমিতাভ বচ্চনও তাই করলেন। অমিতাভ তার বাবাকে বললেন লন্ডনে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা। তখন তার বাবা পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, “লন্ডনে যেতে চাইলে জয়াকে বিয়ে করে যেতে হবে, বৈবাহিক সম্পর্ক ব্যতীত যাওয়া যাবে না।” অমিতাভ এবং জয়াও এতে কোনো আপত্তি ছিল না। তাই পরদিনই বাধ্য সন্তানের মত তারা বিয়ের পিড়িতে বসে পড়েন। বিয়েতে কাছের বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবারের সদস্যরা ছাড়া তেমন কেউ উপস্থিত ছিলেন না। সেই রাতেই অবকাশ যাপনের উদ্দেশ্যে লন্ডন-যাত্রা করেন অমিতাভ এবং জয়া।
জান্জীর ছাড়াও অমিতাভ-জয়া দম্পতিকে ‘অভিমান‘, ‘শোলে‘, ‘মিলি‘, ‘চুপকে চুপকে‘, মারাঠি ছবি ‘আক্কা’ এবং ভোজপুরী ছবি ‘গঙ্গা দেবী’-তেও অভিনয় করতে দেখা যায়। এই দম্পতির দুই সন্তান – শোয়েতা নন্দা এবং অভিষেক বচ্চন। জনপ্রিয় এই দম্পতির সন্তান অভিষেক বচ্চন আরেক বিখ্যাত অভিনেত্রী এবং মিস ওয়ার্ল্ড ঐশ্বরিয়া রাই কে বিয়ে করেন যারা বর্তমানে এক কন্যা সন্তানের গর্বিত বাবা-মা হয়েছেন।
রোববারের রাতে থেকেই ভক্তরা এই সেলিব্রেটি দম্পতি অমিতাভ-জয়াকে বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন। অমিতাভ বচ্চন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারের মাধ্যমে ভক্তদের ধন্যবাদ জানান। তার অফিসিয়াল ব্লগেও বিবাহ নিয়ে স্মৃতিস্মারণ করেছেন বিগ বি।
বলার অপেক্ষা রাখে না, ৪০তম বিবাহ বার্ষিকীও তাদের জন্য খুবই আনন্দায়ক ব্যাপার এবং বিবাহ বার্ষিকীতে তাদের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন আরো দীর্ঘ হোক এই কামনা রইলো।