ঢাকা টাইমস্ রিপোর্ট ॥ বহুল আলোচিত ১২ মার্চের মহাসমাবেশে সংবিধান সংশোধন করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালে সরকারকে নব্বই দিনের আলটিমেটাম দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আগামী ১০ জুনের মধ্যে দাবি মেনে নেয়া না হলে ১১ জুন ঢাকায় মহাসমাবেশ করে সরকার পতনের কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বাংলার মাটিতে কোন নির্বাচন হবে না। চার দলসহ সমমনা কোন দল ওই নির্বাচনে অংশ নেবে না। তাই সময় থাকতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার মেনে নিন। ১২ মার্চ নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিশাল মহাসমাবেশে তিনি এ হুশিয়ারি দেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে খালেদা জিয়া বলেন, কোন তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোলে করে ক্ষমতায় বসাবে না। আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় বসব। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একটি সম্মানিত পদ। কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে ওই পদকে কলুষিত করবেন না। আপনি আয়নায় একবার নিজের চেহারা দেখুন।
মহাসমাবেশে আসার পথে বিভিন্ন জায়গায় সরকারের বাধার তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, সরকার জনগণের ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছে। জনগণের প্রতি তাদের কোন আস্থা নেই। তাই তারা জনআতংকে ভুগছে। তাই মহাসমাবেশে আসতে নেতাকর্মীদের পদে পদে বাধা দিয়েছে। রাজধানীর হোটেল, কমিউনিটি সেন্টার এমনকি খাবার হোটেল বন্ধ করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ভীত হয়ে তিন দিন ধরে বাস-লঞ্চ বন্ধ করে ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা ঢাকায় তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাসায় ওঠে। সেখানে গিয়েও পুলিশ তাদের অপমানিত ও লাঞ্ছিত করেছে। পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের গুণ্ডারা অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে মহাসমাবেশে আসতে বাধা দিয়েছে। নিজের দেশের লোকদের সঙ্গে তারা হানাদারের মতো ব্যবহার করেছে। আমাদের পাশাপাশি সচেতন নাগরিকরাও গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা না দেয়ার আহ্বান জানান। সরকার যদি ভালো কাজ করে থাকে তবে তাদের কেন এত ভয়। কিন্তু তারপরও তারা মঞ্চ বানাতে ও মাইক লাগাতে বাধা দেয়। তারা ভেবেছে এভাবে নির্যাতন করে ক্ষমতায় থাকবে। কোন বাধাই জনস্রোত ঠেকাতে পারেনি। সরকারের বাধা উপেক্ষা করে জনগণ মহাসমাবেশে অংশ নিয়েছে। সারাদেশের যোগাযোগ ঠিক থাকলে ঢাকা জনসমুদ্রের শহরে পরিণত হতো। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সারাদেশে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন তিনি।
খালেদা জিয়া আরও বলেন, ঢাকাকে অচল করে দিয়ে তারা কি প্রমাণ করতে চেয়েছে। আগে দেখেছি বিরোধীদল হরতাল ডাকে। কিন্তু গত তিন দিন সরকারই দেশে হরতাল ডেকেছে। তিন দিন ধরে গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ, দোকানপাট খোলেনি; কিন্তু জনস্রোত বন্ধ হয়নি। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির অবস্থা এমনিতেই খারাপ। এ তিন দিন দোকানপাট, হোটেল, বাস-লঞ্চ খোলা থাকলে মানুষের কিছু ব্যবসা হতো।
সমাবেশে বাধা দেয়ার অধিকার সরকারের নেই উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ক্ষমতাসীনরা গুণ্ডামি-অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ধারণা, ভয় দেখালেই জনগণ চুপ হয়ে যাবে। কিন্তু দেশের জনগণ ভয়ে ভীত হয় না। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তারা ভীত হয়নি। কিন্তু আপনারা দালালি করেছিলেন। নিজের দলের নেতাকে হত্যার পরও আন্দোলন করেননি। কিন্তু দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জেল-জুলুম উপেক্ষা করে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। ’৯১-এর নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করে জনগণ সেই সংগ্রামের মূল্য দিয়েছে। যারা সত্য, গণতন্ত্র ও ন্যায়ের পথে থাকবে; জনগণও তাদের পক্ষে থাকবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার কি আপনাকে কোলে তুলে ক্ষমতায় বসাবে- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, দেশবাসী জানে তারা কতটা অরাজনৈতিক। তাদের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী আমাকে ও বিরোধী দল সম্পর্কে যে কথা বলেন, তা কোন রুচিশীল ব্যক্তি বলতে পারে না। জনগণ জানে কারা দেশপ্রেমিক, কারা অন্যদেশের এজেন্ট। কারা বস্তাভর্তি টাকা নিয়ে নির্বাচন করে। আপনিই তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিলেন। মানুষ হত্যা করেছিলেন। এখন কেন বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কি কোলে করে ক্ষমতায় বসাবে। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের মাধ্যমে স্বীকার করেছেন, মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীন তাকে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের কোন বিদেশী টাকার প্রয়োজন হয় না। জনগণের ভোটে ও সহায়তায় ক্ষমতায় যাই। বস্তাভর্তি টাকা দিয়ে ক্ষমতায় যাইনি।
খালেদা জিয়া বলেন, আমি জনগণকে ডাক দিয়েছিলাম। তারা আমার ডাকে সাড়া দিয়েছে। কিন্তু সরকার তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে চায়। কারণ সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা একদলীয় বাকশাল গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ গণতন্ত্রমনা। একদলীয় বাকশালে বিশ্বাস করে না। যদি বাকশাল কায়েমের চেষ্টা করেন তবে ভুল করবেন।
দেশে আইন-শৃংখলা বলতে কিছু নেই দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, দেশের মানুষ আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, বেডরুমে পাহারা দেয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তিনি তো রাজপথেই নিরাপত্তা দিতে পারছেন না। সৌদি কূটনীতিককে রাজপথে হত্যা করা হল। প্রতিদিন খুন, ডাকাতি, ছিনতাই হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেবে যে পুলিশ, সে পুলিশেরই আজ নিরাপত্তা নেই। সন্ত্রাসীরা একজন পুলিশকে গুলি করে পালিয়ে গেল। পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার গাড়িসহ ছিনতাই করে নিয়ে গেল। তা এখনও উদ্ধার করা হয়নি।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরাও আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সাগর-রুনী হত্যাকারীদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। এ হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার আর হবে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই দায়িত্ব নিয়ে এখন বলছেন, আলামত মুছে গেছে। আলামত মুছে ফেলে এখন বলেন, মুছে গেছে। সরকার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে। সত্য খবর দেয় বলে গণমাধ্যমকে ভয় পায় সরকার। এ সময়ে ১৫ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে।
সাংবাদিকরা সত্য কথা লেখার কারণে প্রতিনিয়ত সরকারি দলের গুণ্ডাদের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সরকার নানাভাবে মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। আজকের মহাসমাবেশ সরাসরি সম্প্রচার করতে দেয়নি। তাদের লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দেয়া হয়েছে। সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যেতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তাতে বিএনপির সমর্থন থাকবে বলে জানান তিনি।
রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য নয়, সরকারের নিজস্ব লোক ও আত্মীয়-স্বজনদের টাকা লুটপাটের জন্য বিনা টেন্ডারে তাদের কাজ দেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের পকেট থেকে টাকা নিয়ে ২০ হাজার কোটি টাকা কুইক রেন্টাল পাওয়ারে ভর্তুকি দেয়া হয়েছে।
শেয়ারবাজার লুটপাটকারীদের বিচার করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই শেয়ারবাজার লুট হয়। ’৯৬ সালেও তারা এ কাজ করে। এবার ক্ষমতায় এসে ৩৩ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে পথে বসিয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। লুটপাটকারীদের বিচার না করে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে এসব লুটপাটকারীকে গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি করা হবে। লুট করা টাকা উদ্ধার করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ফিরিয়ে দেয়া হবে।
সীমান্তে হত্যার সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, প্রতিনিয়ত বিএসএফ আমাদের লোকদের হত্যা করছে। আমাদের সীমানার মধ্যে ঢুকে মানুষ মারার পাশাপাশি জমির ফসল নিয়ে যাচ্ছে। সীমান্ত এলাকার মা-বাবারা বাচ্চাদের বিএসএফের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়। কিন্তু সরকার কোন প্রতিবাদ করতে পারছে না। আমাদের বিডিআরকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। সরকারকে বলব, বর্ডার সিকিউরিটিকে নির্দেশ দিন, কোন আঘাত এলে যেন তারা প্রতিবাদ করে। ফারাক্কা বাঁধের প্রভাব তুলে ধরে তিনি বলেন, তিস্তা চুক্তির কথা বলা হয়েছিল। কোথায় চুক্তি, কোথায় চুক্তির পানি? টিপাইমুখ বাঁধ বন্ধে কোন প্রতিবাদ করছে না।
খালেদা জিয়া বলেন, আমরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। কিন্তু একতরফা দিয়ে যাব, বিনিময়ে কিছুই পাব না- সেটা হবে গোলামি। এ সরকার গোলামির চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। এ দুর্বল-নতজানু সরকারকে বিদায় করতে হবে। একটি দেশ ছাড়া তাদের আর কোন বন্ধু নেই। মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলেছে।
বেলা আড়াইটায় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া সমাবেশস্থলে পৌঁছলে নেতাকর্মীরা মুহুর্মুহু স্লোগানে এলাকা প্রকম্পিত করে তোলে। খালেদা জিয়া হাত তুলে তাদের অভিনন্দন জানান।
শত বাধা পেরিয়ে সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দেশজুড়ে মানুষের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা আর উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়। সড়ক পথ, নদী পথ বন্ধ করে নানা ধরনের শত বাধা পেরিয়ে অবশেষে বিএনপির মহাসমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নিল। অবসান হল জনমনে সব উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার। সরকারের ‘নাশকতার আশংকা’ও মিথ্যা প্রমাণিত হল। জনসমুদ্র আটকাতে শেষদিন পর্যন্ত ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে সরকার। শুধু তাই নয়, অনুমতি দিয়েছে একেবারে শেষদিন বিকালে। আর পুলিশি শর্তে জনসভার জন্য নির্দিষ্ট জায়গার সীমারেখা টেনে দেয়া হয়েছিল; বাঁধভাঙা জনতার জোয়ারে শেষ পর্যন্ত তা টেকেনি। জনতা ছড়িয়ে পড়ে পূর্বে শাপলা চত্বর, পশ্চিমে কাকরাইল মসজিদ, উত্তরে শান্তিনগর মোড় আর দক্ষিণে দৈনিক বাংলার মোড় পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, নয়াপল্টন সংলগ্ন সব সড়কই জনতায় একীভূত হয়ে গিয়েছিল। নয়াপল্টনের সঙ্গে সংযোগ কোন সড়কেই জনসভা চলাকালে যানবাহন চলেনি। সকাল ১০টা পর্যন্ত কাকরাইল মোড় ও ফকিরাপুল পর্যন্ত ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ নির্দিষ্ট এলাকায় জনসভা সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা চালায় কিন্তু ১০টার পরে চারদিক থেকে জনতার বাঁধভাঙা জোয়ার দেখে পুলিশ ব্যারিকেড উঠিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ আর সমবেত জনতা মিশে একাকার হয়ে যায়। মানুষ ছিল আশপাশের বাড়ির ছাদ ও উঁচু বিল্ডিংয়েও। সমাবেশকে ঘিরে সোমবার ঢাকায় দু’ধরনের চিত্র ফুটে ওঠে। একটি হল সারা ঢাকায় হরতাল পরিস্থিতি; নগরী ফাঁকা। অন্যদিকে নয়পল্টন হয়ে পড়ে লোকে লোকারণ্য। এ নিয়ে সমাবেশে আগত অনেককে আলোচনা করতে দেখা যায়। সরকারি দলের নেতারা একাধিকবার নাশকতার আশঙ্কা প্রকাশ করলেও সমবেত কোন নেতাকর্মীর হাতে লাঠিসোটা দেখা যায়নি। বড় ধরনের বিশৃঙ্খলাও চোখে পড়েনি। বরং এক ধরনের উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে মানুষের মধ্যে। অধিকাংশের হাতে ছিল জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া অথবা তারেক রহমানের ছবি সংবলিত পোস্টার আর ব্যানার। অনেকের মাথায় বাঁধা ছিল ধানের শীষ।
This post was last modified on মার্চ ১৩, ২০১২ 7:06 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৫ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি মোটামুটি সব ধরনের মৌসুমি ফল এবং সবজিই স্বাস্থ্য…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মোবাইল হ্যান্ডসেটের এন্ট্রি-লেভেল ক্যাটাগরিতেও ব্যবহারকারীদের চমকে দিতে প্রস্তুত অনার বাংলাদেশ।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মৌরির গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্যস্ত সময় পার করে বছরশেষে একটু বেড়াতে গিয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ এক দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। দাবানলে…