দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের ওজন কতো হতে পারে? এই প্রশ্ন যদি করা যায় তার উত্তরও খুব স্বাভাবিকভাবেই বেরিয়ে আসবে। তবে যে শিশুটির কথা আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে সেই শিশুর বয়স মাত্র ৯ মাস কিন্তু তার ওজন ৩০ কেজি!
এমন কথা অবিশ্বাস্য শোনালেও সত্যি। বয়স মাত্র ৯ মাস হয়েছে অথচ এই শিশুটির ওজন ৩০ কেজি। এমনটিই ঘটেছে মেক্সিকোর লুইস ম্যানুয়েলের জীবনে। ছোট্ট এই শিশুটি এখনও ঠিক করে কথাও বলে উঠতে শিখিনি। তবে ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে তার ওজন। সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে তার খিদেও। সাধারণ শিশুদের থেকে প্রায় ৬ গুণ বেশি খাবার খায় লুইস। তাকেই পৃথিবীর সবচেয়ে ভারি শিশু বলা হচ্ছে।
জানা যায়, জন্ম থেকেই বিরল প্র্যাডার উইলি সিনড্রোম রোগে আক্রান্ত শিশু লুইস। এমন শিশুদের ওজন জন্ম হতেই বেশি হয়। সাধারণ শিশুর থেকে অনেক বেশি খিদে হয় এদের।
যে কারণে ওজনও চরম আকারে বাড়তে থাকে। জন্মের মাত্র কয়েকদিন পরই লুইসকে ২ বছরের শিশুর পোশাক পরাতে হয়েছে। এখন তার বয়স ৯ মাস অথচ তারজন্য ৯ বছর বয়সী শিশুর পোশাক কিনতে হয় বলে জানিয়েছেন তার বাবা-মা। লুইসের খাবারের জন্যও প্রচুর অর্থ খরচ করতে হয় তাদেরকে। অথচ তাদের আর্থিক অবস্থা মোটেও ভালো নয়। অগত্যা পাড়া-প্রতিবেশীর সাহায্যের ভরসায় থাকতে হয় লুইসের বাবা-মাকে।
চিকিৎসকদের মতে, এটি জিনবাহিত রোগ প্র্যাডার উইলি সিনড্রোম। এই রোগের কোনো নিরাময় নেই। এই ধরনের শিশুদের আয়ুও খুবই কম হয়ে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ওজনের ভার সইতে পারে না এইসব মানুষের শরীর। যে কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রবল। বলা যায় শতকরা প্রায় ৯০ শতাংশ। কিছুদিন আগে মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে স্থূলকায় মহিলা ইমান আহমেদের।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটে ইজিপ্টের আলেকজান্দ্রিয়ার বাসিন্দা স্থূলকায় মহিলা ইমান আহমেদের। বহু চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা। লুইসের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই আশঙ্কা করছেন মেক্সিকোর চিকিৎসকরা। তবে এখনও ছেলের বাঁচার আশা করছেন লুইসের বাবা-মা। ছেলেকে তারা আরও ভালো চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তারা অর্থ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন।