দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জমজম কূপ সম্পর্কে আমরা হয়তো জানি কিছু তথ্য। মহান রাব্বুল আলামিনের এক রহমত হলো এই জমজম কূপ। সৃষ্টির এক রহস্য জমজম কূপ সম্পর্কে কিছু তথ্য আজ জেনে নিন! সেইসঙ্গে দেখুন ভিডিওটি।
সৌদি আরবের এই জমজম কূপের পানির উৎস নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। বিগত ষাটের দশকে বাদশাহ্ খালেদের শাসআমলে আধুনিক যন্ত্রপাতির দ্বারা জমজম কূপ পরিষ্কার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এই কাজে তত্বাবধানে নিয়োজিত প্রকৌশলী ইয়াহইয়া কোশকের প্রদত্ত বিবরণ হতে তথ্যে জানা যায়, বড় ধরনের কয়েকটি পাথরের তলদেশ হতে প্রবল বেগে জমজম কূপের পানি উৎসারিত হচ্ছে। সব চাইতে বড় পাথরের চাঙ্গটির উপর স্পষ্ট আরবী হরফে ‘বিসমিল্লাহ্’ কথাটি উৎকলিত রয়েছে। আবদুল মুত্তালিব আলাইহি সালাম’র সময় কূপের গভীরতা ছিল মাত্র ১৪ ফুট। খলিফা মামুনুর রশীদের আমলে পুনরায় এটি খনন করা হয়।
জমজম কূপের পানি বহু রোগ নিরাময় করে। যারা হজ্জ করতে যান তারা বোতলে ভরে জমজম কূপের পানি নিয়ে আসেন। এতো লক্ষ কোটি মানুষ খায়, তবুও পানির ফোটা পরিমান কখনও শেষ হয় না। এভাবে আল্লাহতাআলা তাঁর বান্দার জন্য ঐশীবাণী নিদর্শন হিসেবে রেখেছেন।
# আল্লাহতাআলার অসীম কুদরতে ৪০০০ বছর পূর্বে সৃষ্টি হয়েছিল এই কূপ।
# ভারি মোটরের সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটার পানি উত্তোলন করার পরও পানি ঠিক সৃষ্টির সূচনাকালের ন্যায় উঠছে।
# জমজম কূপের পানির স্বাদ আজ পর্যন্ত পরিবর্তন হয়নি। জন্মায়নি কোনো প্রকার ছত্রাক বা শৈবাল।
# সারাদিন পানি উত্তোলন শেষ হলে দেখা যায় মাত্র ১১ মিনিটেই আবারও পূর্ণ হয়ে যায় কূপটি! অথচ মরু প্রান্তরে পানি খুঁজে পাওয়া প্রায় দুষ্কর!
# এই জমজম কূপের পানি আজ পর্যন্ত কখনও শুকায়নি। সৃষ্টির পর হতে একই ধারায় রয়েছে এর পানি প্রবাহ। এমনকি হজ্ব মৌসুমে ব্যবহার ক’য়েক গুণ বেড়ে গেলেও এই পানির স্তর কখনও নিচে নামে না।
# সৃষ্টির পর হতে এই কূপের পানির গুণাগুণ, স্বাদ ও এর মধ্যে বিভিন্ন উপাদান একই পরিমাণে রয়েছে বলে গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে।
# এই জমজম কূপের পানির মধ্যে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সল্ট এর পরিমাণ অন্যান্য পানির তুলনায় অনেক বেশি, যে কারণে এই পানি শুধু পিপাসা মেটায় তাই নয়, এই পানি ক্ষুধাও নিবারণ করে!
# এই জমজম কূপের পানিতে ফ্লুরাইডের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে এতে কোনো রকম জীবাণু জন্মায় না ।
# জমজম কূপের এই পানি পান করলে সকল ক্লান্তি যেনো দূর হয়ে যায়।
# হজ্জ করতে আসা হাজীরা এই জমজম কূপের পানি বোতলে করে নিয়ে যান। নিজেরা এই সুপেয় পানি পান করেন এবং আত্মীয়স্বজনদের দেন এই জমজম কূপের পানি।
তাই শুধু সৌদি আরব নয়, বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে এই জমজম কূপের পানি। মানুষ আগ্রহ ভরে বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের আরোগ্য কামনা করে এই পানি পান করেন।
দেখুন ভিডিওটি
This post was last modified on নভেম্বর ৩, ২০১৭ 9:28 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট বেলায় কিশোর পত্রিকার পাতায় আমরা অনেকেই এমন খেলা খেলেছি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি করলা খেলে সুস্থ থাকে শরীর। তবে সঙ্গে বা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই বছরের জুন মাসে শেষ হচ্ছে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সার্ভিস…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শাহ আবদুল করিম এবং হাসন রাজার ভাটির দেশ থেকে ইট-পাথরের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি দেখে নিজেদের দিকে তাকালে ‘লজ্জা’ পান বলে…