দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটু উল্টো বিষয়টি। কারণ বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে ছেলেকেই সেবা করেছেন এক বৃদ্ধা মা! এমন একটি ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যের লিভারপুল শহরের একটি বৃদ্ধাশ্রমে!
বৃদ্ধাশ্রম কথাটি শুনলেই যেনো গা শিউরে ওঠে। কোনো মানুষকে যেনো এই স্থানটিতে যেতে না হয়। কারণ বৃদ্ধ বয়সে নিজের পরিবার পরিজন অর্থাৎ সন্তান ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে বসবাস না করে বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে জীবন কাটানোর মতো বিষয়টি সত্যিই বেদনাদায়ক। তবে আজকের এই কাহিনীটি একেবারেই ভিন্ন রকমের।
এমনই একটি ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছে। মেইল অনলাই এমন একটি খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়, বৃদ্ধাশ্রমে ছেলের সেবা করতে ছুটে গিয়েছিলেন ৯৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মা। এমন একটি ঘটানা ঘটেছে যুক্তরাজ্যের লিভারপুল শহরের একটি বৃদ্ধাশ্রমে। ছেলে টম বেশিরভাগ সময়ই কাটিয়েছেন মা অ্যাডার সঙ্গেই। কর্মজীবনে মা অ্যাডা ছিলেন একজন নার্স। টম কেটিংয়ের বয়স বর্তমানে ৮০ বছর।
তার এই দীর্ঘ জীবনে বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি টম। যে কারণে তিনি থাকেন যুক্তরাজ্যের লিভারপুল শহরের একটি বৃদ্ধাশ্রমে। কিছুদিন হলো টমের শরীর মোটেও ভালো যাচ্ছিল না। তাই সন্তানের সেবা করতে বৃদ্ধাশ্রমে ছুটে যান তারই বৃদ্ধা মা ৯৮ বছর বয়সী অ্যাডা। এই বয়সেও সন্তানের সেবা করতে তার কোনোই সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন অ্যাডা।
ফেলে আসা দিনগুলোর কথা স্মরণ করে অ্যাডা বলেছেন, “প্রতি রাতে আমি টমকে ‘শুভরাত্রি’ জানিয়ে ঘুমাতে যেতাম, আবার সকালে ঘুম থেকে উঠে ‘শুভ সকাল’ জানাতাম। বেলা শেষে যখন আমি কাজ হতে ফিরে আসতাম, তখন টম আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতো সারা জীবন তুমি এভাবেই আমার মা হয়ে থেকো।”
টম বৃদ্ধাশ্রমে তার মাকে কাছে পেয়ে খুবই খুশি। তিনি বলেছেন, ‘এখানকার (বৃদ্ধাশ্রম) লোকজন খুব ভালো। এখন তো আমার মাও এখানে এসেছেন, আমি খুবই খুশি।’
সংবাদ মাধ্যমকে এ বিষয়ে বৃদ্ধাশ্রমের ব্যবস্থাপক ফিলিপ ড্যানিয়েল জানিয়েছেন, ‘একই বৃদ্ধাশ্রমে মা ও ছেলে একসঙ্গে বসবাস করছে এমন ঘটনা সত্যিই বিরল। আমরা মা-সন্তানের জীবনকে আরও সুখকর করে তুলবো। আমরা তাদের জন্য সব সময় আছি এবং থাকবো।’