দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের শীর্ষ ধনীর স্ত্রী হয়েও চাকরি করেন মাত্র ৮০০ টাকা বেতনে! এমন একটি কথা শুনে যে কেও বিস্মিত হবেন এবং ভাববেন হয়তো ভুয়া খবর। কিন্তু তা নয়, এটি সত্যি ঘটনায়। এই সত্যি ঘটনাটি জানতে হলে পড়ুন বিস্তারিত।
ভারতের একজন শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির স্ত্রী তিনি। তবে স্বামীর পরিচয়ের বাইরে নীতা আম্বানি নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করে ফেলেছেন ক্রিকেট, ফুটবল-সহ বিভিন্ন অঙ্গনে।
শুধু কী তাই? ভারতের প্রথম নারী হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির সদস্যও হয়েছেন নীতা আম্বানি। গত সপ্তাহে নীতা আম্বানির জন্মদিন উপলক্ষে ভারতের একটি হিন্দি দৈনিকে সাক্ষাৎকার দেন নীতা আম্বানি। সেই সাক্ষাৎকার এমন কিছু তথ্য জানিয়েছেন যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে!
ভারতীয় গণমাধ্যম এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়, মুকেশ আম্বানির সঙ্গে বিয়ের পূর্ব থেকেই শিশুদের পড়াতে ভালোবাসতেন নীতা আম্বানি। একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াতেন তিনি। স্কুলে শিক্ষকতার কাজ তিনি চালিয়ে যেতে চান, বিয়ের পর সেকথা মুকেশকে জানান নীতা। তাকে কোনো আপত্তি করেননি মুকেশও। তবে ৮০০ টাকা মাসিক বেতনে চাকরি করাটাই অবাক করছে সকলকে। আসলে শিক্ষকতা তিনি খুব ভালোবাসতেন, তাই পেশাটি ছাড়তে চাননি।
সাক্ষাৎকারে নীতা আম্বানি আরও জানিয়েছেন, স্কুলে পড়ানোর সময়ই নীতার এক ছাত্রের অভিভাবক ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপের দু’টি টিকিট তাঁকে দিতে চান। তবে নীতা তা ফিরিয়ে দেন।
সেই বিশ্বকাপের স্পন্সর ছিল রিলায়েন্স গ্রুপ (প্রতিষ্ঠাতা হলেন নীতার স্বামী মুকেশ আম্বানি)। তবে খেলার দিন ভিআইপি বক্সে নীতাকে দেখে অবাক হয়ে যান সেইসব অভিভাবকরা। পরে তারা নীতাকে প্রশ্ন করে জানতে পারেন যে, নীতা মুকেশ আম্বানির স্ত্রী। যেটা শুনে তারা সত্যিই অবাক হয়ে যান। এও কি সম্ভব? এমন একজন ধনী লোকের স্ত্রী হয়ে সাধারণ একটি স্কুলে চাকরি করেন!