দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যদি প্রশ্ন করা হয় অধূমপায়ীদের কি কখনও ফুসফুসের ক্যান্সার হয় না? এর কী উত্তর দেবেন চিকিৎসকরা? আসুন সেই বিষয়টি আজ জেনে নেই।
একটি তথ্য আমাদের সকলের জানা। আর সেই তথ্য হলো ধূমপান ফুসফুসের ক্যান্সারের একটি অন্যতম এবং প্রধান কারণ। বলা হয়, যারা দৈনিক ২ হতে ৩ প্যাকেট সিগারেট সেবন করেন বা ২০/৩০ বছর ধরে ধূমপান করেন, তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ ব্যক্তির ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। তাই বলে যারা ধূমপান করেন না, তারা কি একেবারেই নিরাপদে থাকেন? চিকিৎসকরা বলেছেন, অধূমপায়ীদেরও ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে। এমনকি নারীরাও এই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই ধূমপান করেন না বলে কিছু উপসর্গকে মোটেও অবহেলা করা যাবে না।
কি কি কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে
# পরিবেশের এবং কর্মক্ষেত্রের নানা দূষণ, গাড়ির ধোঁয়া ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। তাই কাঠ কিংবা কয়লা পোড়ানোর ধোঁয়া কিংবা যানবাহনের ধোঁয়া হতে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। শিল্পকারখানায় কাজ করার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
# নারী এবং অধূমপায়ীদের ভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হয়ে থাকে। তাই পরোক্ষ (যারা ধূমপানের সময় পাশে থাকেন) ধূমপানও অন্যদের ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
# কিছুদিনের কাশি, কাশির সঙ্গে রক্তপাত, জ্বর, ওজন হ্রাস পাওয়া ইত্যাদি ফুসফুসের ক্যান্সারের পরিচিত লক্ষণ। তবে কিছু অপরিচিত উপসর্গও ফুসফুসের ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। যেমন- গলার স্বর পরিবর্তন। ধূমপায়ী কিংবা ব্রংকাইটিসের রোগীর সাধারণ কাশির ধরন পরিবর্তন। বুকে কিংবা কাঁধে ব্যথা হওয়া। ৫০ শতাংশ রোগী বুক বা কাঁধের ব্যথা নিয়েই কেবল চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে দেখা যায়। ঘন ঘন নিউমোনিয়া কিংবা ফুসফুসের সংক্রমণ হতে পারে আরেকটি লক্ষণ।
# খুসখুসে কাশি কিংবা শ্বাসকষ্টও অনেক সময় লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময় আমরা এগুলোকে অ্যালার্জি বা হাঁপানি ভেবে থাকি।
# দেহের অন্য কোনো অঙ্গের ক্যান্সারও অনেক সময় ছড়িয়ে পড়ে ফুসফুসে বাসা বাঁধতে পারে। ব্রেস্ট, কোলন, প্রোস্টেট ক্যান্সার ফুসফুসে বেশি ছড়ায়। এই ধরনের রোগের ইতিহাস থাকলে ফুসফুসজনিত কোনো উপসর্গকেই মোটেও অবহেলা করা যাবে না। দ্রুত চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে।
সূত্র: ডা. মো. আজিজুর রহমান, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ’র লেখাটি প্রকাশ করেছে দৈনিক প্রথম আলো।