দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিচারকও মাঝে-মধ্যে রসিক বনে যান! এমনই একটি ঘটনা সকলকে হতবাক করেছে। আজ রয়েছে বিচারকের টাকায় স্বামী-স্ত্রীর হোটেলে রাত্রী যাপনের এমন একটি অভিনব গল্প!
এক স্বামী-স্ত্রী এসেছিলেন আদালতে। কারণ হলো তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। তাই স্বামীর বিরুদ্ধে নিপীড়নের মামলা করেন স্ত্রী। তাদের ডিভোর্স ঠেকাতে এক অভিনব পদক্ষেপ নিলেন দায়িত্বশীল এক বিচারক। পরামর্শ দিলেন স্বামী-স্ত্রীকে একসঙ্গে হোটেলে রাত কাটানোর জন্য! এমনকি হোটেল ভাড়া নিজের ব্যক্তিগত তহবিল হতে দিয়েছেন ওই বিচারক! ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলা আদালত এমন একটি রায় দিয়ে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছেন।
এক খবরে বলা হয়েছে, দাম্পত্য জীবনের সমস্যা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন স্বামী গৌতম এবং স্ত্রী অহনা। গত সপ্তাহে এই মামলার শুনানি চলছিল বীরভূম জেলা আদালতে। শুনানির সময় আইনজীবী বলেন, এটি পারিবারিক কলহ। দম্পতিকে পরিবারের থেকে পৃথক করে একা সময় কাটানোর সুযোগ দেওয়া দরকার।
আইনজীবীর জেরা শুনে বিচারকের মনে হয় যে, সমস্যা বা মনোমালিন্য রয়েছে অহনা ও গৌতম দম্পতির মধ্যে। স্বামী-স্ত্রী একান্তে থাকলে ও নিজেদের মধ্যে কথা বললে ডিভোর্স ছাড়াই সমস্যার সমাধান সম্ভব হতে পারে। এরপর শুনানি শেষে দু`জনকে একত্রে পরিবারের থেকে পৃথক কোনো হোটেলে ৩ দিন থাকার নির্দেশ দেন। রায় শুনে হতভম্ব হয়ে যান গৌতম এবং অহনা দম্পতি।
পেশায় ইলেক্ট্রিশিয়ান গৌতম এই সময় আদালতকে জানান, তিনি খুবই সামান্য আয় করেন। তাতে হোটেলে থাকার বন্দোবস্ত করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। এই কথা শুনে বিচারক নিজেই স্ব:প্রণোদিত হয়ে তাদের হোটেলে থাকার খরচ বহন করার দায়িত্ব নেন। পরবর্তী ৩দিন ওই দম্পতিকে হোটেলে থেকে নিজেদের সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
শেষ পর্যন্ত অহনা-গৌতম দম্পতি বিচারকের এমন অভিনব প্রস্তাব গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে বিচারকের সামনে জানান, নিজেদের সমস্যা মেটানোর উদ্যোগ তারা অবশ্যই নেবেন। তবে ৩ দিন হোটেলে রাত্রী যাপনের পর কি ঘটে সেটিই এখন দেখার বিষয়।