দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হানিমুন আর কদিন হতে পারে? এক সপ্তাহ, এক মাস? নাকি তার থেকেও বেশি দিন? তবে এমন এক দম্পতিকে পাওয়া গেছে, যে দম্পতির ১৭ মাসেও শেষ হয়নি হানিমুন!
বিয়ের পর এই দম্পতি ফিলিপাইনের দক্ষিণ-পশ্চিমের পালাওয়ান দ্বীপে গিয়েছিলেন হানিমুন করতে। সেখানকার এল নিদো শহরের নিকটেই অবস্থিত সমুদ্র উপকূল। পর্যটকদের জন্য সেখানেই রয়েছে বার্ডহাউজ নামে একটি রিসোর্ট।
এই বার্ডহাউজ রেস্টুরেন্টটি মার্ক অ্যান্টোনি ও ক্যামেলি ডিমসন ভিলাফ্লোর নাকে এক দম্পতির তৈরি। এই দম্পতি ১৬ মাস ধরে সারাবিশ্ব ঘুরে হানিমুন করেছেন। এরপর তাদের ব্লগেও সে অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন।
২০০৯ সালে এই দম্পতি প্রথম একে অন্যের সঙ্গে দেখা করেন। তার প্রায় দুই বছর পর তারা বিয়ে করে একত্রে চীনের সাংহাইতে থাকতে শুরু করেন। এই সময়ে তারা ৪০ দিনের জন্য কম্বোডিয়া এবং পশ্চিম চীনে হানিমুনে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।
মার্ক মার্কিন ও ক্যামেলি ফিলিপাইনের নাগরিক। যে কারণে বিশ্বের নানা দেশের ভিসা পাওয়াটাও খুব একটা কঠিন ছিল না তাদের জন্য।
যেমন সিদ্ধান্ত ঠিক তেমন কাজ। তারা হানিমুনে গিয়ে শুধু একে অপরের দিকেই মনোযোগী ছিলেন তা নয়, আশপাশের দারুণ সব বিষয়ের দিকেও খেয়াল রেখেছিলেন তারা।
এই হানিমুনটিকে তারা আরও বড় করার সিদ্ধান্ত নিলেন। ভ্রমণে গিয়ে তারা পার্ট টাইম কাজ করে উপার্জনও শুরু করে দিলেন। এরপর বিভিন্ন স্থানে কাজ করে বেশ কিছু টাকাও জমা হতে থাকে তাদের কাছে। এভাবে ৩০ হাজার ডলার জমিয়ে তারা বছরব্যাপী হানিমুনের পরিকল্পনাও করে ফেললেন।
ব্যাপকপ্যাক নিয়ে যে হানিমুন তারা শুরু করেছিলেন, সেটি শেষ পর্যন্ত ১৭ মাসে গিয়ে ঠেকে। এতোদিন ধরে তারা যুক্তরাষ্ট্র, কেনিয়া, তানজানিয়া, গুয়াতেমালা, এল স্যালবেদর, নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা, কম্বোডিয়া, পানামা, ব্রাজিল এবং ইকুয়েডরে হানিমুন করেছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হানিমুন করে তারা যেসব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন, তা তুলে ধরেন অনলাইন মাধ্যমে। ভ্রমণের সময় তারা সুযোগ-সুবিধামতো বিভিন্ন কাজও করেন। এসব কাজের মধ্যে ছিলো হোস্টেলের চেক-ইন সার্ভিস, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনা, ডিজাইন কনসালটেন্সি, ব্লগ রিভিউ এবং হোটেলের ফ্লোর মোছাও!
এই দম্পতি ১৬ মাস ভ্রমণের শেষে তারা এল নিদোতে চলে আসেন। হানিমুনের জন্য দ্বীপটি ছিলো এক অসাধারণ। তাই এই দম্পতি সেখানকার দারুণ সুন্দর সাগর, পাহাড় এবং হ্রদের টানে সেখানে আরও কিছুদিন কিভাবে থাকা যায়, তারজন্য উপায় খুঁজতে থাকেন।
এই এলাকাটিতে তেমন একটা পর্যটক আসে না। কিতবে ভালো ব্যবস্থা করলে সেটি পর্যটকদের জন্য দারুণ একটি স্থান হবে। এ চিন্তায় পর্যটকদের জন্য সেখানে ‘দ্য নেস্ট’ নামে একটি রিসোর্ট তৈরি করেন তারা। সেজন্য অল্প কিছু জায়গাও পেয়ে যান তারা।
৬ মাস কাজ শেষ করে তারা ওই রিসোর্টের বার্ডহাউস এবং ৩টি তাবু চালু করেন। সেখানকার অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও নিশ্চিত করেন তারা।
হানিমুন করতে গিয়ে এই অসাধারণ স্থানটির সন্ধান পান এই দম্পতি। এরপর দীর্ঘ হানিমুন শেষে নিজেরাই বসবাস শুরু করলেন এমন দারুণ একটি স্থানে। সব মিলিয়ে যেনো ১৭ মাসের বেশি সময় ধরে হানিমুন শেষই হচ্ছে না এই দম্পতির! আর কতোদিন চলবে তাদের হানিমুন?
This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ১০, ২০১৮ 12:25 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…