দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিমানে উঠার অভিজ্ঞতা সবার এক রকম নয়। অনেকেই আছেন হয়তো এর আগে কখনও বিমানে উঠেননি। তারা বিমানে ওঠার সময় যে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল করবেন সেগুলো নিয়েই এই প্রতিবেদন।
বিমানে ওঠার পূর্বে কাগজপত্র যেমন পাসপোর্ট ভিসার কাগজপত্র সঠিকভাবে দেখে নিতে হবে তেমনি পোশাক পরা নিয়েও কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। এমন পোশাক পরা উচিত যে পোশাক পরে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন এবং একই সঙ্গে সুরক্ষিতও থাকবেন। বিমানে উঠার সময় কেমন পোশাক পড়ে উঠবেন না সেই নিয়েই কয়েকটা টিপস-
টাইট পোশাক
আপনি যখন বিমানে চড়বেন তখন টাইট পোশাক এড়িয়ে চলুন। বিশেষত আপনার ফ্লাইট যদি চার ঘণ্টার বেশি হয় সেক্ষেত্রে এই বিষয়টি অবশ্য খেয়াল রাখতে হবে। দূরের ফ্লাইটের যাত্রীদের ‘ডিপ ভেন থ্রোমবোসিস’ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনটি হলে শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পা-তে হয়। এমনটি যাতে না ঘটে তাই টাইট পোশাক‚ জিন্স‚ মোজা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
সহজেই খোলা যায়, এমন পোশাক পরুন
বিমানের টয়লেট আকারে অনেক ছোট হয়ে থাকে। তাই জাম্পশ্যুটের মতো পোশাক এড়িয়ে চলায় উত্তম। তাছাড়াও যে সব পোশাকে অসংখ্য বোতাম রয়েছে বা জিপার রয়েছে সেইসব পোশাকও এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
মেটাল যুক্ত পোশাক ও হাই হিল জুতো
পোশাক, জুয়েলারি কিংবা জুতোতে যদি মেটাল থাকে তাহলে সিকিউরিটি চেক ইনের সময় বেশ বিপদে পড়তে পারেন। যে কারণে আপনার দেরিও হয়ে যেতে পারে। তাই মেটালবিহীন জুতা পরার চেষ্টা করুন। এছাড়াও বেশিক্ষণ হিল জুতো পরে থাকলে পা ফুলে যেতে পারে কিংবা কোমরে ব্যথাও হতে পারে। তাই এগুলো থেকে বিরত থাকায় ভালো।
সামার ড্রেস বা শর্ট ড্রেস
আপনি এমন স্থানে যাচ্ছেন যেখানকার তাপমাত্র বেশ উচ্চও হতে পারে। তাই মনে করে আপনি খুব পাতলা পোশাক পরতে পারেন। কিন্তু বিমানের মধ্যে তাপমাত্র একদম কমিয়ে রাখা হয়। যে কারণে খানিক্ষণ পরই আপনার ঠাণ্ডা লাগবে। তাই পারলে একটা হালকা জ্যাকেট সঙ্গে রাখুন।
কনট্যাক্ট লেন্স
সাধারণতভাবে বিমানের মধ্যে অ্যাভারেজ আর্দ্রতা ২০% অবধি নেমে যেতে পারে। যে কারণে আপনার লেন্স ড্রাই হয়ে আপনার চোখের মধ্যে ইরিটেশনের সৃষ্টিও করতে পারে। অল্প সময়ের ফ্লাইট হলে ঠিক আছে। তবে যদি অনেকক্ষণ বিমানে থাকতে হয় সেক্ষেত্রে চশমা পরাই ভালো।
সুগন্ধী
প্রকৃতপক্ষে বিমান একটি ছোট প্যাকড জায়গা। তাই এই সময় আপনার আশপাশের প্যাসেঞ্জারদের কথা মাথায় রাখতে হবে। তাই তীব্র গন্ধ না লাগানোই ভালো। সমীক্ষা করে দেখা গেছে যে, বিমানে অনেকেই পারফিউমের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারেন না। তাছাড়াও বিমানে এমন অনেক যাত্রীও রয়েছেন যাদের অ্যালার্জি বা হাঁপানি রয়েছে।