দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের যে কতো রকম শখ থাকে তা বোঝা মুশকিল। কথায় বলা হয়, ‘শখের তোলা আটআনা’। এমনই এক নারীর খোঁজ মিলেছে যিনি ড্রাগন হতে গিয়ে খরচ করেছেন ৬০,০০০ ডলার!
ওই নারীকে দেখতে অনেকটা ড্রাগনের মতোই। তাই নিজেকে এই অবস্থায় নিয়ে যেতে ৪২,০০০ ডলার খরচ করেছেন। তবে এর পেছনের ঘটনা আরও বেশি রহস্যজনক।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, টেক্সাসের ব্রুনি শহরে ইভা তিয়ামাত মেদুসার ব্যাপক পরিচিতিও রয়েছে। ইভা প্রথমে ছিলেন একজন পুরুষ, সেই সময় তার এইচ আইভি এইডস রোগ ধরা পড়ে। এরপর তিনি লিঙ্গ পরিবর্তন করে নারীতে রূপান্তরিত হন। তিনি সেখানেই থেমে থাকেন নি। তারপর নিজেকে ড্রাগনে রুপান্তরের সকল পাঁয়তারা সাধন করেছেন।
একটি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন ইভা। মাত্র ৫ বছর বয়স হতে তার মা-বাবা ত্যাগ করেন তাকে। এরপর পশ্চিমা ডায়মন্ডব্যাক র্যাটলস্ন্যাক নামের এক সংঘটনের সান্নিধ্যে আসেন ইভা।
জানা যায়, ইভা তার শরীরের বিভিন্ন ধরণের সার্জারি করে নিজেকে ড্রাগনে রূপান্তরের প্রচেষ্টা বহু আগে হতেই শুরু করেছেন। প্রথমে তার নাকের সার্জারি করেন, এরপর কানের সম্পূর্ণ অংশ কেটে ফেলেন। তার চোখে সারা জীবনের জন্য নীল ও সবুজ রংয়ের প্রলেপ লাগানো হয়। এসবের জন্য মোট ৬০ হাজার ডলার গর্চা দিতে হয়েছে ইভাকে!
স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, নিজের এই পরিবর্তনকে তিনি জীবনের মহৎ একটি কাজ বলেই গণ্য করেন। তিনি আরও বলেন যে, তার প্রতিটি পরিবর্তনের মাঝে অনেক অর্থও লুকিয়ে রয়েছে। তার দুইজন মা রয়েছে, যে তাকে জন্ম দিয়েছেন ও আরেকজন মা যিনি তাকে এই সাপের রংয়ের শরীর আঁকতে সাহায্য করেছেন।
ইভা আরও জানান, তিনি মানুষরূপে মৃত্যুবরণ করতে চাননি। তিনি কোনো প্রাণীর আকার ধারণ করেই মরতে চান। তাই তার শরীরে এতোসব সার্জারি করে শরীরে এই হাল করেছেন ইভা!
দেখুন ভিডিওটি
https://www.youtube.com/watch?time_continue=7&v=_oHEHkPfyvY