দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নেপালের বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত বিমানে নিহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। সর্বশেষ সংবাদে ৪৯ জন নিহত হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে।
নেপালের বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত বিমানে নিহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। সর্বশেষ সংবাদে ৪৯ জন নিহত হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে। এদিকে
নেপালের কাঠমান্ডুতে ত্রিভুব আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস বাংলা বিমানের যাত্রীদের নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বিমানের ১০ জন যাত্রী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের ভাগ্যে আসলে কি ঘটেছে তা এখনও নিশ্চিত নয়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিহতের সঠিক সংখ্যা না জানালেও তাদের বক্তব্য হতে সেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে নিহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যাবে। কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র নারায়ন প্রসাদ সাংবাদিকদের বলেছেন যে, এখন যতো দ্রুত দুর্ঘটনাস্থল হতে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করা হচ্ছে। নেপালের সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তবে ১৪ জন বাংলাদেশী জীবিত রয়েছেন বলে সর্বশেষ সংবাদে বলা হয়েছে।
এদিকে সিঙ্গাপুরে চারদিনের সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি তার সফর সংক্ষিপ্ত করে কালই দেশে ফিরছেন। প্রধানমন্ত্রী নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে টেলিফোন করে সব ধরনের সহযোগিতার কথা বলেছেন।
এদিকে দুর্ঘটনার কারণে ত্রিভুবন বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে সব ধরনের বিমান উঠানামা বন্ধ রয়েছে।
আহতদের চিকিৎসায় একটি বিশেষ বিমান পাঠানোর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে। ত্রিভুব বিমান বন্দর চালু হলেই বিমান পাঠানো হবে বলে জানানো হয়।
এদিকে সর্বশেষ সংবাদে জানা গেছে, বিধ্বস্ত বিমানের ব্লাকবক্স উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে পাইলটের কথোপকথনের অডিও রেকর্ডও প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা হতে নেপালগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আজ (সোমবার) দুপুরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিমান বন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়।