দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাড়িতে তেল ভরা কিংবা চার্জ দেওয়া নিয়ে এখন থেকে আর টেনশন করতে হবে না। কারণ এখন থেকে সড়কেই চার্জ হবে চলন্ত গাড়ি!
প্রযুক্তির উৎকর্ষে দিনকে দিন মানুষের জীবন যাত্রা যেনো সহজ থেকে সহজতর হচ্ছে। জ্বালানি শেষ হয়ে গাড়ি থেমে যাওয়ার মতো দিন এখন ফুরিয়ে গেছে। এবার সড়কেই চলন্ত গাড়ি চার্জের ব্যবস্থা করলো সুইডেন।
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের বাইরে সম্প্রতি একটি বৈদ্যুতিক সড়ক উন্মুক্ত করা হয়। এই সড়কে বৈদ্যুতিক গাড়ি চলাচলের সময় তা চার্জ হবে। মাত্র দুই কিলোমিটারের এই রাস্তাটি স্টকহোম অরল্যান্ডা বিমানবন্দরকে সংযুক্ত করেছে নিকটবর্তী বণ্টন বিভাগের সঙ্গে। বৈদ্যুতিক এই বিশেষ রাস্তা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সুইডেনের কৌশলগত পরিকল্পনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০৩০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার হতে মুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সুইডেনে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হলে কেবলমাত্র পরিবহন ক্ষেত্র হতেই ৭০ শতাংশ নির্গমন হ্রাস করতে হবে। তাই আশা করা হচ্ছে, প্রসারিত হতে পারলে সুইডেনের বৈদ্যুতিক সড়কগুলো বৈদ্যুতিক গাড়িগুলো চার্জ করতে সমর্থ হবে। যে কারণে কমতে থাকবে প্রথাগত ইঞ্জিনচালিত গাড়ির চাহিদাও।
জানা গেছে, এক কিলোমিটার বৈদ্যুতিক রাস্তা তৈরির জন্য খরচ পড়েছে ১ মিলিয়ন ইউরো। তারপরও এটি সমান দূরত্বের একটি ঊর্ধ্বস্থ ট্রাম লাইন বসানোর চেয়ে ৫০ শতাংশ কম ব্যয়বহুল বলে মনে করা হচ্ছে। সুইডেনে ৫ লাখ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে, তারমধ্যে ২০ হাজার সড়কই হলো মহাসড়কের অন্তর্গত।
এই ই-রোড অরল্যান্ডার প্রধান নির্বাহী হ্যান্স সেল সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, মহাসড়কের যদি অন্তত ২০ হাজার কিলোমিটার বৈদ্যুতিক করে তোলা সম্ভব হয়, তাহলেই যথেষ্ট। দুটো মহাসড়কের মধ্যকার দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটারের বেশি হওয়ার কথা নয়, তাই বৈদ্যুতিক গাড়ি অনায়াসেই এটুকু পথ পাড়ি দিতে পারে পুনরায় চার্জ ছাড়াই।