দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময় ক্রেডিট কার্ড আমাদের নিত্যসঙ্গি। দিনে রাতে যে কোনো সময় ক্রেডিট কার্ড পান্স করে টাকা তুলতে পারছি। কিন্তু এই ক্রেডিট কার্ড কবে থেকে প্রচলন হয়েছে বা সারাবিশ্বে একই আকৃতির ক্রেডিট কার্ড হয় কেনো? সেগুলো আমাদের অজানা।
আপনার ক্রেডিট কার্ডের টাকার পরিমাণ ও অন্যের টাকার পরিমাণ কখনও এক হতে পারে না। তবে একটি ক্ষেত্রে আপনাদের উভয়ের ক্রেডিট কার্ডের মিল রয়েছে, আর তা হলো সাইজ একই। শুধু তাই নয়, বিশ্বের সকল মানুষের ক্রেডিট কার্ডের মিলও হবহু একই। অর্থাৎ ক্রেডিট কার্ডের সাইজ বা আকার-আকৃতি একই।
সংবাদ মাধ্যমের এক তথ্যে জানা গেছে, প্রথমবারের মতো ক্রেডিট কার্ডের প্রচলন শুরু করে ব্যাংক অব আমেরিকা ১৯৫৮ সালে। হয়তো আপনি ভাবতে পারেন, ওই ব্যাংকটি বিশ্বের প্রথম ক্রেডিট কার্ডটি মানিব্যাগে রাখার সুবিধার কথা ভেবেই তৈরি করেছিল, তবে ব্যাংকটি ক্রেডিট কার্ডের আকৃতি ছোট করে আন্তর্জাতিক মান সংস্থা (আইএসও) কর্তৃক নির্ধারিত মাপ মেনেই।
আইএসও খেলনা নিরাপত্তা হতে শুরু করে ক্রেডিট কার্ডের আকৃতিসহ সবকিছুরই মান নির্ধারণ করে থাকে। আইএসও/আইইসি ৭৮১০:২০০৩ রূপরেখায় শনাক্তকরণ কার্ডের মান সেখানে উল্লেখ রয়েছে। নির্দিষ্ট মানটি আইএসও ও আন্তর্জাতিক ইলেক্ট্রোটেকনিক্যাল কমিশন (আইইসি) উভয় সংস্থার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ও এটিএম কার্ডগুলো আইডি-১ ক্যাটাগরির আওতাধীন। অর্থাৎ এসব কার্ডগুলো অবশ্যই ৮৫.৬মিমি × ৫৩.৯৮ মিমি বা ৩.৩৭৫ ইঞ্চি × ২.১২৫ ইঞ্চির মধ্যেই হতে হবে। এছাড়াও সকল আইডেন্টিফিকেশন বা শনাক্তকরণ কার্ড ০.৭৬ পুরুত্বেরও হতে হবে, কোনো ক্যাটাগরির তা এই ক্ষেত্রে মুখ্য বিষয় নয়।
ক্রেডিট কার্ডগুলো বছরের পর বছর ধরে নানা ধাপে পরিবর্তিত হয়েছে, তবে কার্ডগুলোর আকার-আকৃতি সবসময়ই একই রয়েছে। ক্ষুদ্র রোলারের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ডের নম্বরটি শণাক্ত, পরবর্তীতে ম্যাগনেটিক স্ট্রাইপ ও হাল আমলে চিপ রিডারের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ডের নম্বর শণাক্তকরণ- ক্রেডিট কার্ডের প্রযুক্তি সবসময়ই আপডেট হচ্ছে। কিন্তু আকার একই থাকছে। যে কারণে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে গিয়ে যে কেও ব্যবহারও করতে পারেন ক্রেডিট কার্ড। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানের ব্যাংকগুলোতে সে ধরনের সুযোগও রয়েছে।