আজ ৫ মে খুলছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কাঁচঘর লন্ডনের কিউ গার্ডেনস হাউজ!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ ৫ মে খুলে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কাঁচঘর লন্ডনের কিউ গার্ডেনস হাউজ! ভিক্টোরিয়ান কাঁচের এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্লাস হাউজ!

দীর্ঘ ৫ বছর বন্ধ থাকার পর আজ ৫ মে খুলে দেওয়া হচ্ছে লন্ডনের কিউ গার্ডেনস হাউজ নামে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কাঁচঘর। ভিক্টোরিয়ান কাঁচের এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্লাস হাউজ হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে।

লন্ডনের কিউ গার্ডেনস হাউজ মূলত একটি বিশালাকার গ্রীন-হাউজ। এই ঘরটিতে বর্তমানে উষ্ণ অঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার গাছের চারা রয়েছে। এইসব গাছের মধ্যে খুবই বিরল এবং প্রায় বিলুপ্তির পথে থাকা বেশ কিছু প্রজাতির গাছও রয়েছে।

Related Post

আজ থেকে ৫ বছর আগে ২০১৩ সালে সংস্কারের জন্য এটিকে বন্ধ করেছিল কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ ৫ বছর সময়, এই ঘরটিতে ৫ হাজার ২৭০ লিটার রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও পালটে দেওয়া হয়েছে ১৫ হাজার স্প্যান কাঁচও।

কিউ গার্ডেনস এর সংস্কার কাজ দেখে নিন এক নজরে

# কিউ গার্ডেনস সংস্কার কাজে ব্যয় হয়েছে ৪১ মিলিয়ন পাউন্ড।
# কিউ গার্ডেনস ভবনটির অন্তত ৬৯ হাজার ভিন্ন ভিন্ন বস্তু খুলে পরিষ্কার বা মেরামত কিংবা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
# ১৫ হাজার কাঁচের প্যান প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এই ঘরটিতে।
# ১১৬টি স্পর্শকাতর ধাতব অংশ ক্রেন দিয়ে এই ভবন হতে খোলা হয়েছে এবং পরে তা পুনঃস্থাপনও করা হয়েছে।
# সংস্কার কাজে ব্যবহৃত কাঠের তক্তাগুলো যদি একের পর এক রাখা হয় তাহলে তার দৈর্ঘ্য হবে ১৮০ কিলোমিটার বা ১১০ মাইল।
# এখানে যে পরিমাণ রং ব্যবহার করা হয়েছে তা দিয়ে অনায়াসে ৪টি ফুটবল মাঠ রঙ করা যাবে।
# ৪শত কর্মীর এই পুরো কাজ সম্পন্ন করতে সময় লেগেছে মোট ১৭৩১ দিন।

মূলত প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে কিউ গার্ডেনস খুবই জনপ্রিয়। শহরের মধ্যেই এমন এক টুকরো সবুজের সমারোহ খুবই উৎসাহী করতো লন্ডনবাসীদের। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে এই ঘরটিতে পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানিয়েছেন প্রকৃতিবীদ ও বিবিসির সংবাদ পাঠক স্যার ডেভিড অ্যাটেনবরাফ।

এই বিষয়ে তিনি বলেছেন, “আমি ঘরটিতে প্রথম যখন আসি তখন এটিতে আসতে মাত্র কয়েক পয়সা খরচ হতো। যখন অফিস করতে করতে হাপিয়ে উঠতাম তখন উইকেন্ডে আমি এখানে আসতাম। আমি এখানে এসে দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিতাম। কারণ হলো এখানে প্রকৃতির ঘ্রাণ পাওয়া যায়”।

ডেভিড অ্যাটেনবরাফ বলেছেন, “বিভিন্ন প্রাণীরা যেমন বিলুপ্ত হতে চলেছে তেমনি বিভিন্ন প্রজাতির গাছও বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। তাই এমন একটি স্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা নির্দিধায় বলা যায়”।

This post was last modified on মে ৪, ২০১৮ 9:05 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

পাহাড়ি রাস্তায় লাফিয়ে চলা মেয়েটির ছবিতে কী কী পরিবর্তন আছে তা বলতে পারবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট বেলায় কিশোর পত্রিকার পাতায় আমরা অনেকেই এমন খেলা খেলেছি।…

% দিন আগে

সিলেটের সাদা পাথর: এক অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে

গরমে করলার সঙ্গে কয়েকটি খাবার খেলে উপকার পাবেন না: কোন সেই খাবার?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি করলা খেলে সুস্থ থাকে শরীর। তবে সঙ্গে বা…

% দিন আগে

হুমকির মুখে সফটওয়্যার এবং স্টার্টআপ খাতের উদ্যোগ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই বছরের জুন মাসে শেষ হচ্ছে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সার্ভিস…

% দিন আগে

এবার মিউজিক ভিডিওতে তোরসা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শাহ আবদুল করিম এবং হাসন রাজার ভাটির দেশ থেকে ইট-পাথরের…

% দিন আগে

বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমরা লজ্জা পাই- পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি দেখে নিজেদের দিকে তাকালে ‘লজ্জা’ পান বলে…

% দিন আগে