দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেখতে ছোট হলেও পুষ্টিতে ভরপুর এমনি একটি পুষ্টির ডেনামাইটের নাম হল কোয়েলের ডিম। একটি ডেনামাইটে যেমন প্রচুর পরিমাণে বিষ্ফোরণযোগ্য শক্তি মজুত থাকে ঠিক তেমনি কোয়েলের ডিমে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি।
খাদ্য উপযোগী ডিমের মধ্যে কোয়েল পাখির ডিম গুণে মানে এবং পুষ্টিতে সর্বশ্রেষ্ঠ বলা যায়। এক্টু বয়স বাড়লেই ডাক্তাররা মুরগির ডিম খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে বলেন। কারণ নিয়মিত মুরগির ডিম খেলে কোলেেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এখন কেউ চাই না জীবনের জন্য ঝুঁকিপুর্ণ এমন কোন খাবার খেতে। তবে কোয়েলের ডিম নির্ভয়ে সকল বয়সের মানুষ খেতে পারেন। এতে ক্ষতির কোনো কারণ নেই বরং নিয়মিত কোয়েলের ডিম খেলে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয় এবং অনেক কঠিন রোগ থেকে আরোগ্য লাভও হতে পারে।
হার্টের সমস্যা, কিডনি সমস্যা, অতিরিক্ত ওজন,স্মৃতি শক্তি রক্ষা, রক্তের পরিমান কমে যাওয়া, রোগ প্রতিরোধ, পাকস্থলী ও ফুসফুসের নানা রোগ, উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে কোয়েলের ডিম ভাল কাজ করে।
চলুন এবার জেনে নেই কোয়েলের ডিমে যে পুষ্টি উপাদানগুলো বিদ্যমান থাকে-
কোয়েলের ডিম প্রাণীজ খাদ্যদ্রব্য হলেও এর মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম এবং অ্যামাইনো এসিড এমন মাত্রায় থাকে যে এই ডিম খেলে শরীরে সব ধরণের পুষ্টির অভাব পূরণ হয় এবং শরীরের কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়।
যেখানে মুরগির ডিমে কোলেস্টেরল থাকে ৪% সেখানে কোয়েলের ডিমে থাকে ১.৪%। আর কোয়েলের ডিমের কুসুমে প্রোটিনের পরিমান মুরগির থেকে প্রায় সাত গুণ বেশি।
কোয়েলের ডিমে ভিটামিন বি-১ এর পরিমাণ মুরগির ডিম থেকে প্রায় ছয়গুণ বেশি। ফসফরাস ও আয়রনও থাকে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। এছাড়াও কোয়েলের ডিমে এমন কিছু উপাদান আছে যা শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়াকে নষ্ট করে।
নিয়মিত কোয়েলের ডিম খেলে হার্টের কার্যক্ষমতা উন্নত হয়, কিডনি এবং লিভারের কার্যক্ষমতা ও হজমশক্তি বাড়ে এবং অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া ব্রেইন সবসময় সতেজ রাখে এবং স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে।
শরীরের প্রয়োজনীয় সব ধরনের ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যামাইনো এসিড, কোয়েল ডিমে বিদ্যমান। যার কারণে কোয়েলের ডিম কোন কোন দেশে মেডিসিন হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
বাচ্চাদের মানসিক, শারীরিক এবং বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে থাকে কোয়েলের ডিম। দুর্বল বাচ্চা থেকে বৃদ্ধরা প্রতিদিন তিন/চারটা করে কোয়েলের ডিম খেতে পারেন।
কোয়েল পাখির ডিমে প্রতি একশ গ্রামে রয়েছে ১৩.০৫ গ্রাম প্রোটিন এবং ১৫৮ ক্যালরি। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল বিদ্যমান।
এছাড়াও এটি পাকস্থলির সমস্যা দূর করে। চাইনিজরা কোয়েলের ডিমকে টিবি, অ্যাজমা এবং ডায়াবেটিস রোগের পথ্য হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। কিডনি ও লিভারের সমস্যা দূর করতেও এই ডিমের রয়েছে কার্যকর ভুমিকা।
তাহলে আজ থেকে আপনার খাদ্য তালিকায় কোয়েলের ডিম যুক্ত করে নিন এবং সুস্থ থাকুন।
This post was last modified on জুন ৮, ২০২৩ 4:59 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার ভুয়া ছবি শনাক্ত করার জন্য শীঘ্রই ‘রিভার্স ইমেজ সার্চ’…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হলিউড-বলিউডের কোন তারকার কো সিনেমা কবে মুক্তি পাবে, মোটামুটি আগেভাগেই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা টিভির সম্প্রচার সাময়িকভাবে স্থগিত করলো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি ডিমের দাম এতো হতে পারে তা কখনও কী ভাবা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১৯ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে এই ভেষজগুলো প্রতিদিনের…