সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে বৃষ্টিবিঘ্নিত, নাটকীয় এক ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে টাই করে ভাল নেট রানরেটের সুবাদে ডার্ক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জিতে সেমিফাইনালে উঠে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অথচ এই ডার্ক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি সবসময় দক্ষিণ আফ্রিকা’র জন্য বিপদ বয়ে আনে বলেই তাদের নাম হয়েছে “চোকার।” কিন্তু সেমিফাইনালে যাবার মরণপরণ এ ম্যাচে প্রোটিয়ারা ঘুচিয়ে দিলো সব অপবাদ!
বৃষ্টিবিঘ্নিত হয়ে ছোট হয়ে আসা ইনিংসে প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ৩১ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩১ রান। ইনগ্রামের মারকুটে ব্যাটিং এ তারা ওপেনিং জুটিতে ১২ ওভারেই তুলে নেয় ৮০ রান। ত্রয়োদশ ওভারের প্রথম বলে স্যামুয়েলসের শিকার হয়ে ২৩ রান করে হাশিম আমলা সাজঘরে ফিরে গেলেও তাদের অগ্রযাত্রা থামেনি। ডি ভিলিয়ার্স এসে ইনগ্রামের সাথে মিলে গড়ে তোলেন ৩২ বলে ৪৪ রানের পার্টনারশিপ।
কিন্তু এরপর মাত্র ৪ রানের ব্যবধানেই হারাতে হয় দুটি উইকেট। অষ্টাদশ ওভারে পোলার্ডের স্লোয়ার আগেভাগে খেলে বল আকাশে তুলে দিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ড্যারেন ব্র্যাভোকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ইনগ্রাম, তার আগে করেন ৬৩ বলে ছয়টি ৪ ও দুটি ছক্কায় ৭৩। পরের ওভারেই ব্যক্তিগত ২ রানের মাথায় ডোয়েইন ব্র্যাভোর শিকার হয়ে ফিরে যান মাত্রই ক্রিজে আসা ডুমিনি। তবে ভেঙ্গে পড়েনি প্রোটিয়াসরা, চতুর্থ উইকেট জুটিতে ২৫ ও পঞ্চম উইকেট জুটিতে মাত্র ৪৮ বলে তোলে ৬৮ রান। ডি ভিলিয়ার্স, ডু প্লেসিস ও মিলারের ঝড়ো ত্রিশোর্দ্ধ ইনিংসত্রয় তাদের নিয়ে যায় দুর্দান্ত অবস্থানে।
প্রায় সাড়ে সাত আস্কিং রেটে রান তাড়া করতে গিয়ে প্রথমদিকে ভাল অবস্থায় ছিল না ওয়েস্টইন্ডিজ। প্রথম দশ ওভারে চার্লস জনসনের উইকেট হারিয়ে তারা তুলতে পারে মোটে ৪৯ রান। গেইল বলপ্রতি রান তুলতে পারলেও অপরপ্রান্তে ঠিকই রানের চাকা আটকে রেখেছিলেন স্টেইন, টটসোবেরা। একাদশ ওভারে নিজের সেই বিধ্বংসী রুপে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দিলেন গেইল, ডুমিনির বলে দুই চার, এক ছক্কা হাঁকালেন, ওভারে রান উঠল সতের। পরের ওভারের প্রথম বলেই স্মিথের চার, চতুর্থ বলে দুর্দান্ত পুল শটে চার মারলেন গেইল। কিন্তু মরিসের পরের বলেই গেইল আউট হয়ে গেলে বিপাকে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২৯ বলে ৩০ রান করে একটু পরে আউট হয়ে যান স্মিথও। এরপরই আবার নেমে আসে বৃষ্টি, তবে সেটা ম্যাচ থেকে ওভার কাটেনি। অষ্টাদশ ওভারে ড্যারেন ব্র্যাভো রানআউট হয়ে ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন পোলার্ড। খেলা তারপরই পালটে যায়। স্যামুয়েলস আর পোলার্ড মিলে ৩৩ বলে ৫৮ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপে দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন। চব্বিশতম ওভারে স্টেইনের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে শেষ হয় স্যামুয়েলসের ৩৮ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। পরের দুই ওভারে পোলার্ড আর ডোয়েইন ব্র্যাভো মিলে যোগ করেন আরো ১৮ রান। সাতাশতম ওভারের প্রথম বলে ম্যাকলারেনের শর্ট বলে ব্যাট চালিয়ে ক্যাচ দিয়ে আসেন পোলার্ড, এরপরই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ! ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৬ উইকেটে ১৯০।
ডাকওয়ার্থ লুইস অনুযায়ী ২৬.১ ওভারে ৬ উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজের জিততে লাগে ১৯১ রান। পোলার্ডের উইকেট না হারালে ডাকওয়ার্থ লুইসের হিসেবে এই রান (১৯০/৫) নিয়েও জিতে যায় তারা! কিন্তু তা আর হতে পারল কই? ম্যাচের ফলাফল তাই টাই, দুইদলই পেল ১টি করে পয়েন্ট আর নেট রানরেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে সেমিফাইনালে চলে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ভগ্নচিত্তে ধরতে হল বাড়ির পথ!
হায়, পোলার্ড যদি জানতেন তার ওই একটি শট কিভাবে সব নির্ধারণ করে দেবে …!
This post was last modified on জুন ১৫, ২০১৩ 10:00 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…