দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সবুজ বাঁশপাতি (ইংরেজি: Green Bee-eater; বৈজ্ঞানিক নাম: Merops Orientalis) বাংলাদেশে লভ্য ছোট আকারের পাখি এটি। দেশের কোনো কোনো স্থানে এটিকে ‘সুইচোরা’, ‘নরুন চেরা’ প্রভৃতি নামেও ডাকা হয়ে থাকে। মেরোপিদি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত এই পাখি নদীতীরবর্তী বন-জঙ্গলে দলবদ্ধভাবে বসবাস করে থাকে। ‘ট্রিউ ট্রিউ’ তীক্ষ্ম শব্দ করে ডাকে। এর ইংরেজী নাম Green Bee-eater। তবে পোকামাকড় ধরে খেলেও এটি মূলত এটি মৎস-শিকারী পাখি।
ছবিঃ রবিন রাজ
বর্ণনা:
এরা লম্বায় প্রায় ৮ ইঞ্চি দীর্ঘ সবুজ বাঁশপাতির গড়ন ছিপছিপে হয়ে থাকে। এদের গাত্রবর্ণ উজ্জ্বল সবুজ। তবে মস্তক ও পৃষ্ঠদেশের ঊর্ধাংশে রয়েছে সোনালি পালক থাকে। ডানার নিম্নভাগ উজ্জ্বল তামাটে হয়। এর কৃষ্ণবর্ণ চঞ্চুটি একটু বাঁকানো। ‘কাজলরেখা’ রয়েছে চোখের দুই পাশে যা ঘাড়ের সঙ্গে মিশে গেছে। পাখিটির চিবুক ও গলায় কাছে রয়েছে নীল ছটা আর গলার নিচে আছে মালার মতো কালো টান। এর পায়ের রঙ কালচে। লক্ষ্যণীয় যে সবুজ বাঁশপাতির লেজের মধ্য বরাবর দুটি পালক দুই ইঞ্চি পরিমাণ বর্ধিত।
বাঁশপাতি গাছে বাসা বাধতে জানে না। এরা নদীর কূলে খাড়া জায়গায় গর্ত করে বাসা বানায়। প্রজনন মৌসুমে গর্তের গভীরে স্ত্রী পাখিটি ৫থেকে ৭টি ধবধবে সাদা রংয়ের ডিম পাড়ে। স্ত্রী-পুরুষ দুই পাখি মিলে ডিমে তা দেয়। বাচ্চা ফুটতে ২১ থেকে ২৭ দিন সময় লাগে।
ছবিঃ রবিন রাজ
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাসঃ
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Coraciiformes
পরিবার: Meropidae
গণ: Merops
প্রজাতি: M. orientalis
এই পাখি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, ফিলিস্তিনসহ এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করে।
তথ্যসূত্রেঃ উইকিপিডিয়া