দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাড়ি মেরামতের সময় পাওয়া গেলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলের লাঞ্চবক্স! এক দম্পতি কয়েক বছর আগে আমেরিকায় একটা পুরনো বাড়ি কিনেছিলেন, সেই বাড়ি মেরামত করতে গিয়েই থমকে যান।
কয়েক বছর আগে আমেরিকায় একটা পুরনো বাড়ি কিনেছেন এক দম্পতি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলের বাড়ি ছিলো সেটি। ১৯৪০ সালের এই বাড়িটি দেখেই পছন্দ হয়ে গিয়েছিল তাদের। তবে পুরনো বাড়ি তো, মেরামত না করালে নয়। সেই মেরামতের সময়ই পেলেন তারা ‘গুপ্তধন’।
ঘটনাটি যদিও বছর খানেক আগের। তবে তা প্রকাশ্যে এসেছে সাম্প্রতিক সময়। বেসমেন্ট হতে শুরু হয় বাড়িটির সংস্কার। ধুলো ভরা বেসমেন্ট পরিষ্কার করতে গিয়েই যেনো চমক বেরিয়ে আসে। দেখা গেলো, বেসমেন্টের সিলিংয়ে ধুলোর আস্তরণে মোড়ানো রয়েছে একটি বাক্স।
ধুলো পরিষ্কার করে দেখা যায়, সেটা আসলে একটা সবুজ রঙের লাঞ্চবক্স। কী রয়েছে এর ভিতরে? স্বর্ণমুদ্রা? সোনার বাঁট? নাকি অন্যকিছু? লাঞ্চবক্সটি অতো ভারী নয়। সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে বাক্সটি খুললেন ওই দম্পতি। দেখা গেলো, লাঞ্চবক্সের ভিতরে তিনটি কৌটো, ওয়্যাক্স পেপারে মোড়া রয়েছে।
প্রথম বাক্সটা খুলতেই বের হলো ১৯২৮-১৯৩৪ সালের বেশ কিছু বিশ ডলারের নোট। কী কাণ্ড! ‘আমরা নিশ্চয়ই কোনও ভালো কাজ করেছি’, চিৎকার করে বলে উঠলেন ওই মহিলা।
দ্বিতীয় বাক্সটা এবার দেখা যাক। এবার একটা ৫০ ডলারের নোটের বান্ডিল বের হলো। একটা খবরের কাগজের কাটিংও ছিল তাতে। ছিল ১৯৫১ সালের কিছু বিলের কপি। এখানে কারও নাম লেখা রয়েছে নিশ্টয়ই? ভালোভাবে বিষয়টি বুঝতে পারলেন না তারা।
পরের বাক্সে দেখা গেলো একগুচ্ছ একশো ডলারের নোট রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২৩ হাজার ডলারের মতো। তবে এই অর্থের মালিক আসলে কে? উকিলকে খবর দিলেন এই দম্পতি।
উকিল অনেক তদন্তের পর জানালেন যে, প্রথমে এই বাড়ির মালিক ছিলেন এক মহিলা। তিনি মারা গিয়েছিলেন। তারই টাকা এগুলো। ওই টাকাগুলোতে বিরল কিছু প্রতীকও রয়েছে।
উকিল জানিয়ে দিলেন যে, বর্তমানে অর্থের মালিকানা এই দম্পতিই। বেসমেন্টে পাওয়া ‘গুপ্তধন’ দিয়েই শুরু হলো বাড়ির রিমডেলিং।