দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এতোদিন কুকুর পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনীতে কাজ করতো। এবার এর ব্যত্যয় ঘটতে চলেছে। এবার সেনাবাহিনীতে কাজ করবে বেজি!
এতোদিন সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশকে যে কোনো রকমের বিস্ফোরক খুঁজে বের করতে সাহায্য করতো কুকুর। পুলিশ হতে শুরু করে সেনাবাহিনী সকল স্থানেই সমান দক্ষতায় কাজ করে থাকে অসংখ্য স্নিফার ডগ। এদেরকে ঠিক সেইভাবে ট্রেনিংও দেওয়া হয়ে থাকে।
এবার সেই কুকুরের পরিবর্তে অন্য এক প্রাণীকে পারদর্শী করে তোলা হচ্ছে। আর তা হলো বেজি। এবার কুকুরের বদলে কাজ করবে বেজি।
জি নিউজ এর এক খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বে এই প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী কুকুরের বদলি হিসাবে বিস্ফোরক উদ্ধারের কাজে বেজি ব্যবহার করবে। শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী তাদের বাহিনীতে বেজি নিয়োগ করেছে।
শিকারী প্রাণী হিসেবে বেজি বা নেউলের সুনাম সব সময় পাওয়া যায়। বিষাক্ত কোনও সাপ মারার জন্যও এই প্রাণী আদি কাল থেকে অধিক সুপরিচিত।
শ্রীলঙ্কার সেনাকর্মকর্তারা বলেছেন, “মাইন ও বিস্ফোরক খোঁজার কাজেও খুব পারদর্শী বেজি। এদের ঘ্রাণশক্তি কুকুরের হতে কোনও অংশেই কম নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেজি আবার কুকুরকেও টেক্কা দিতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনীতে আপাতত দু`টি বেজিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। বিভিন্ন রকম বিস্ফোরকের গন্ধ শুকিয়ে এদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা মনে করছেন, বিদেশ হতে আনা দামী কুকুরের থেকেও অনেক ক্ষেত্রে দেশি বেজি অনেক বেশি কার্যকর হবে। তবে এক্ষেত্রে সঠিক ট্রেনিং দেওয়া প্রয়োজন।
তাই বেজিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে কয়েকজনকে দায়িত্ব দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। কর্মকর্তাদের দাবি হলো, মাটি হতে এক মিটার উপরে লুকানো কোনও বিস্ফোরক খুব সহজেই খুঁজে বের করতে পারে এই প্রাণীটি।
বেজিকে প্রশিক্ষণ দিতে ৬ মাসের মতো সময় লাগে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সেনাকর্মকর্তারা। প্রশিক্ষণরত বেজিদের সেনা সদস্যদের মতো পরিচিতি নম্বরও দেওয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেজিদের কাজে লাগানো হবে।