দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘দেবী’ উপন্যাস এখন রূপান্তরিত হয়েছে বড় পর্দায়। ‘দেবী’র মূল রানু চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। তিনি ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বায়োপিকে অভিনয় করতে চান’।
শুধু অভিনয়ই নয়, ‘দেবী’ ছবিটির মধ্যদিয়ে প্রথমবারের মতো প্রযোজনার খাতায় নাম লিখিয়েছেন জয়া। ১৯ অক্টোবর সারাদেশে মুক্তি পেয়েছে অনম বিশ্বাস পরিচালিত ‘দেবী’ চলচ্চিত্রটি।
‘দেবী’ মুক্তির পূর্বেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে জয়া বলেছিলেন যে, ‘আপনারা যদি হলে গিয়ে ‘দেবী’ দেখে আসেন, তবেই আমরা সফল হবো।’ সাফল্য তাঁর দরজায় কড়া নাড়ছে। কারণ হলো, ‘দেবী’ মুক্তির পর হতেই সিনেমা হলে দর্শকের ভিড় লেগেই আছে। আর ছবিটি যে সফল হবে এটিই তার বড় প্রমাণ। ছবিটি দেখার জন্য একদিন আগে কাটা লাগছে টিকিট। সব শোতেই হচ্ছে হাউসফুল। বিষয়টি যেনো আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন জয়া।
বর্তমানে জয়ার সময় কাটছে সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যা কাটছে সিনেমা হলে ঘুরে ঘুরে। দর্শকদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য শহরের হলগুলোতে ঢুঁ মারছেন ক্লান্তিহীনভাবে। দর্শকরাও তাঁকে সিনেমা হলে পেয়ে প্রকাশ করছেন আনন্দ-উচ্ছ্বাস। শুধু ঢাকা শহরই নয়, সম্প্রতি জয়দেবপুর, টঙ্গী ও ময়মনসিংহের সিনেমা হলগুলোতে গিয়েছেন জয়া। কথা দিয়েছেন আবারও তিনি আসবেন।
জয়া প্রথমবারের মতো প্রযোজনা করেছেন, তাই একটু চাপের মধ্যেই আছেন। তিনি বললেন, ‘একটু চাপ তো ছিলই। ছোটবেলায় ‘দেবী’ উপন্যাস পড়ার পর থেকেই আলাদা একটা মোহ কাজ করতো আমার মধ্যে। মনে মনে ভাবতাম, কেও যদি ‘দেবী’ বানাতো তাহলে আমি রানু চরিত্রে অভিনয় করতে চাইতাম। তবে কেওই ‘দেবী’ ছবিটি বানাচ্ছিলো না। তাই এক সময় নিজেই সাহস করে প্রযোজনা করার সিদ্ধান্ত নিলাম। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কাজটা করাটা খুব সহজ ছিল না। একের পর এক আমাকে চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে। করতে হয়েছে বিভিন্ন সংগ্রাম।’
উপন্যাসের ‘দেবী’ ও চলচ্চিত্রের ‘দেবী’র মধ্যে ফারাক রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জয়া। তিনি বলেছেন, ‘উপন্যাসে পাঠক ‘দেবী’ পড়ে যে স্বাদ পেয়েছেন, চলচ্চিত্রেও তাই পাবেন, তবে সেটা একরকম নাও মনে হতে পারে। কারণ হলো, সাহিত্যের ভাষা ও লাইট-ক্যামেরার ভাষার মধ্যে রয়েছে কিছু পার্থক্য।’
‘দেবী’ উপন্যাসের প্রাণ হলো মিসির আলী চরিত্রটি। এবার সেই মিসির আলী হয়ে পর্দায় হাজির হলেন চঞ্চল চৌধুরী। এই চ্যালেঞ্জটিই নিয়েছিলেন প্রযোজক জয়া আহসান। তিনি বলেছেন, ‘আইকনিক চরিত্র নিয়ে কাজ করতে গেলে শুরুতে ভাবনা আসে অনেক রকম। নানা চিন্তা হয়। আমারও তাই হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত চঞ্চল চৌধুরীকে পারফেক্ট বলে মনে হয়েছিল। দেখুন, ‘দেবী’ অন্য আট-দশটা ছবির মতো হবে নয়। তবে বিনোদন অন্য ছবি দেখে আপনারা যেমন পান, আশ্বস্ত করছি এই ছবিটা দেখেও তাই পাবেন।’
‘বিসর্জন’ ছবির ‘পদ্মা’ চরিত্রের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে? যে চরিত্রে অভিনয় করে দুই বাংলাকে কাঁপিয়ে দেন জয়া আহসান! এই ছবির সিক্যুয়েল ‘বিজয়া’তেও দেখা থাকবেন বিসর্জনে সবার মন জয় করা এই অভিনেত্রী জয়াকে। তবে আপাতত তিনি ‘দেবী’ দিয়েই দর্শকের মন জয় করতে ব্যস্ত রয়েছেন।
জয়া ফেসবুকে লিখেছেন যে, ‘দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছে দেবী!’ এতো ভালোবাসা পেয়েও আরও পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় রয়েছি। কারও বায়োপিকে অভিনয় করার ইচ্ছে রয়েছে কি না এমন একটি প্রশ্নে নির্দ্বিধায় জয়া বলেছেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বায়োপিকে অভিনয় করতে চাই। তাঁর শৈশব, কৈশোরবেলার ঘটনাগুলো আমাকে খু্ব ই টানে।’ আরও অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তিদের চরিত্রে অভিনয়ের ইচ্ছা রয়েছে জয়ার।