দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জীবিত অবস্থায় মানুষ হাজার আকুতি করলেও কারও হৃদয় ছুঁতে পারে না। কিন্তু মারা গেলে তখন মানুষর মনে পড়ে- এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কণ্ঠশিল্পী মিলা।
কণ্ঠশিল্পী মিলাকে নগ্ন অবস্থায় বাথরুম থেকে বের করে নির্যাতন করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে মিলা এই অভিযোগ করেন।
কত কত জীবিত ‘নুসরাত’ যে আইন এর কাছে দাঁড়ান দিনের পর দিন। তবে না মেরে ফেলা পর্যন্ত তাদের জন্য কোনও আওয়াজই উঠবে না। দেশের আইন সুন্দর। ২ বছর হয়ে যাচ্ছে।
কোর্টে উল্টা জঘন্যভাবে চিৎকার দিয়ে অপবাদ দেওয়া হয় আমাকে। বিচার তো দূর। দাখিল করা ‘খ’ ধারার চার্জশিট আমাকে না বুঝতে দিয়ে ‘গ’ ধারায় মামলা দিয়ে চার্জ গঠন করা হয়।
আমার মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়ে। আমার জানা ছিল, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় কোনও রকমের হস্তক্ষেপে নেত্রীর কঠোরভাবে নিষেধ রয়েছে। ৩ বার আদালতের আদেশ টানা অমান্য করলে জামিন বাতিল হবারই কথা।
৫ বার আমাকে কোর্ট নানান বুঝ দিয়ে পার্মানেন্টভাবে জামিন দেয়। আমি এখন বলতেও পারি নাই শেষের দিন আমার শাশুড়ি আমার স্বামীর কথায় আমাকে কিভাবে বাথরুম হতে দরজা ভেঙে বিনা কাপড় পরিহিত অবস্থায় জঘন্যভাবে টেনে আমার দেবর তার স্ত্রী ও তার স্ত্রীর বাবা মায়ের সামনে এক ঘণ্টা গালিগালাজ করতে থাকে।
আমার বাবা ভাইবারে ভিডিও কলের মাধ্যমে পুরাটাই ঘটনা দেখে। এক পর্যায়ে আমি হাত জোড় করে ভিক্ষা চাই এই বলে ‘আম্মু আমাকে মেয়ে বলে নিয়ে আসছিলেন … আমার গায়ে কাপড় নাই … দয়া করে আমাকে ঘরের দরজা বন্ধ করে যা বলার বলেন..কিন্তু এইভাবে অপমান করেন না’ …ভিডিওটা এখনও আমার কাছে…. দেশের শিল্পী আমি?
আজকে এইটাও বলে ফেললাম…. এর চাইতে কাপড় পরা অবস্থায় আমার গায়ে আগুন দিয়ে দিতো। আমি যাই বললাম তাতে পুরা মিডিয়া, শিল্পীরা, আমার ভক্তরা রাস্তায় নেমে সত্যিই প্রতিবাদ করার কথা।
কাপড় ছাড়া ওই ছেলেকে রাস্তায় নামিয়ে জুতার বাড়ি দিয়ে মারার কথা ছিলো, তাইনা? আমার এই পোস্টটাই তো সবার শেয়ার করার কথা তাইনা? কেও করবে নাহ্…. কেও নাহ… কারণ আমি বেঁচে আছি..এই মিলা কেনো এখনও প্রতিদিন চিৎকার করে কাঁদে এর উত্তর পাও তোমরা? আমি দেশের জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী!
এখনও আজকেও বার বার “US-BANGLA” র এমডিকে কল দিয়েছি…কথা বলতে চেয়েছি … ” কেনো আমার ন্যায্য বিচার তারা তাদের ক্ষমতা দিয়ে আটকে রেখে ওই কুলাঙ্গারকে চাকরিতে রাখছেন?
মিলা ঠিক এভাবেই একটি বেসরকারি বিমান সংস্থায় কর্মরত কয়েকজনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন।