দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যতো দিন গড়াচ্ছে ততোই জীবনযাত্রার মান অনেক ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে বাসা ভাড়া বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। হুট করে বাসা ভাড়া বাড়ালে আইনি পদক্ষেপ নেবেন যেভাবে সেই বিষয়টি আজ জেনে নিন।
আয়ের সিংহভাগই খরচ হয় বাসা ভাড়ায়। শহরে একজন নিম্ন আয়ের মানুষ জীবন ধারণ করতে গিয়ে ‘নুন আনতে পানতা ফুরাই’ এর মতো অবস্থা।
দেখা যায় যে, অনেক বাড়ির মালিক কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই এক বছর বা ছয় মাস পর পর ভাড়া বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন। যা একজন ভাড়াটের জন্য অনেক বড় চাপ হয়ে দাড়ায়। কারণ সীমিত আয়েই চলে তার সংসার।
আবার অনেক বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে ভাড়াটেকে উচ্ছেদের চেষ্টাও করেন। যদি আপনি এই ধরনের কোনো সমস্যায় পড়ে থাকেন, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নিলে অবশ্যই প্রতিকার পেতে পারেন। এই বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের অ্যাডভোকেট আবুল হাসান গণমাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়টি:
যেভাবে পেতে পারে প্রতিকার:
# বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে যদি আপনাকে উচ্ছেদের চেষ্টা করেন তাহলে আপনি বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ ও ভাড়া নিয়ন্ত্রকের কাছে অভিযোগ কিংবা আরজি দায়ের করতে পারেন।
# সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ভাড়া নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এই নিয়ন্ত্রক কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার দরখাস্তের কিংবা আরজির শুনানি গ্রহণ করতে পারবেন।
# বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯১ অনুযায়ী প্রতি দুই বছর পর পর বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়ালেও তা হতে হবে যুক্তিসঙ্গতভাবে।
# এছাড়াও মাসিক ভাড়া নিয়ে কোনো লিখিত চুক্তি না থাকলে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে মানি অর্ডারযোগে বাড়িওয়ালার ঠিকানায় ভাড়া প্রেরণ করতে হবে- এমন আইন রয়েছে।
আরও যা যা করবেন :
# মানি অর্ডারযোগে প্রেরণ করা ভাড়ার টাকা বাড়িওয়ালা যদি গ্রহণ নাও করেন, পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ভাড়াটিয়াকে সিনিয়র সহকারী জজের বরাবর দরখাস্ত ও একই সঙ্গে ভাড়ার টাকাও আপনাকে জমা দিতে হবে।
# একজন আইনজীবীর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক বরাবর আবেদনও করতে হবে।
# ভাড়া নিয়ন্ত্রক প্রাথমিকভাবে শুনানির পর যদি সন্তুষ্ট হন যে, ভাড়া প্রদানের জন্য অনুমতি দেওয়া যাবে, সেক্ষেত্রে ভাড়ার টাকা প্রতি মাসেই আদালতে জমা দেওয়া যাবে।
# আদালতে ভাড়ার টাকা জমা দিলে আইনগতভাবে ভাড়াটিয়াকে ভাড়াখেলাপি বলার কোনো সুযোগ থাকবে না।
# বাড়িওয়ালার সঙ্গে লিখিত চুক্তিতে কী কী শর্তে ভাড়া দেওয়া হলো ও করণীয় কী, সেসব বিষয়গুলো নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। চুক্তিপত্রে ভাড়া বাড়ানো, অগ্রিম জমা এবং কখন বাড়ি ছাড়বেন তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
# ভাড়াটিয়াকে প্রতি মাসে বাড়িওয়ালার কাছ থেকে ভাড়ার লিখিত রসিদ অবশ্যই সংগ্রহ করতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।