এম. এইচ. সোহেল ॥ সাড়ে ৪ দশক আগে ১৯৭০-এর দশকে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযান চালানোর জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডার্ন যদি ক্ষমা চাইতে পারেন তাহলে পাকিস্তানেরও উচিত ১৯৭১ এর গণহত্যার জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া।
আমরা খবরে দেখলাম সাড়ে ৪ দশক আগে ১৯৭০-এর দশকে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযান চালিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সেই অভিযানের জন্য ক্ষমা চাইলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডার্ন! সাড়ে ৪ দশক আগে ১৯৭০-এর দশকে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযান চালানোর জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডার্ন যদি ক্ষমা চাইতে পারেন তাহলে পাকিস্তানেরও উচিত ১৯৭১ এর গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়া। নিউজিল্যান্ডের ক্ষমা চাওয়ার খবরটি আজই দি ঢাকা টাইমস্ এ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ধরনের বহু নজির রয়েছে। কারণ ১৯৭১ সালে মুসলমান হয়ে পাকিস্তান বাংলাদেশের মুসলমানদের উপর যে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে ছিলো তা সারা বিশ্বেই নজির হয়ে রয়েছে। তখনকার ক্ষমতাসীন সেনাশাসক যে ধরনের কাজ করেছিলো তা মানবতার ইতিহাসে কলংকজনক অধ্যায় হিসেবে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
পাকিস্তানের ১৯৭১ সালের ওই ভূমিকা নিয়ে ক্ষোদ পাকিস্তানের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলোও দু:খ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সময়। মানবাধিকার কর্মীরাও মনে করেন ১৯৭১ সালের ওই ঘটনার জন্য পাকিস্তানের বর্তমান শাসকদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
১৯৭১ সালে তারা দেশ রক্ষার কথা বলে যে নারী ধর্ষণ, নির্যাতন করেছিলো সেটি বিশ্ব ইতিহাসে এক কলংকজনক অধ্যায় হিসেবে আজও রয়ে গেছে।
নিউজিল্যান্ডের ঘটনাটি হলো, ১৯৭৪ হতে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়। তখন নিউজিল্যান্ডে অর্থনৈতিক মন্দা অবস্থা চলছিল। এতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল হতে আসা অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর খড়গহস্ত হয়েছিল দেশটির সেই সময়কার সরকার। তার জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডার্ন আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইলেন।
অথচ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এদেশের নারী-পুরুষসহ নিরস্ত্র মানুষের উপর যে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছিলো তা কতোখানি অমানবিক ছিলো তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই তুলতায় নিউজিল্যান্ডের ঘটনা পাকিস্তানের বর্বরোচিত ঘটনার কাছে কিছুই নয়। তথাপিও নিউজিল্যান্ড ক্ষমা চেয়েছে।
ক্ষমা চাওয়া কোনো দোষের কিছু নয়। সেজন্য মনমানষিকতা দরকার। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডার্ন সেই কাজটি করে দেখিয়ে দিয়েছেন পুরো বিশ্ববাসীকে। আজ সংগত কারণেই আমরা প্রশ্ন তুলেছি পাকিস্তানের বর্তমান ক্ষমতাসীনদের উচিত ১৯৭১ এর ঘটনার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমরা সেই আশা করতেই পারি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।