দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে চলচ্চিত্র নির্মাতা রাশিদ পলাশের ‘পদ্মাপুরাণ’ সিনেমা। মুক্তির দিন থেকেই প্রশংসায় ভাসছে ‘পদ্মাপুরাণ’।
মনে করা হচ্ছিল, করোনায় দীর্ঘদিন সিনেমা হল বন্ধ থাকার কারণে প্রেক্ষাগৃহগুলোতে সেই রকম দর্শক সমাগম ঘটবে না। তবে সেই ধারণা কিছুটা হলেও ভুল প্রমাণিত হয়। এমন এক পরিস্থিতির মধ্যেও মানুষ সময় বের করে সিনেমা দেখতে এসেছেন। বিশেষ করে দুপুরের শো এবং সন্ধ্যার শোতে বেশি দর্শক সিনেমা দেখতে এসেছেন। যদিও সিনেমা দেখতে আসা দর্শকের বেশিরভাগই ছিলেন তরুণ-তরুণী।
রায়হান শশীর চিত্রনাট্যে সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাদিয়া মাহি, প্রসূন আজাদ, শম্পা রেজা, জয়রাজ, কায়েস চৌধুরী, সুমিত সেনগুপ্ত, সূচনা শিকদার, রেশমী, আশরাফুল আশীষ, হেদায়েত নান্নু ও সাদিয়া তানজিন প্রমুখ।
মূলত ‘পদ্মাপুরাণ’ ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে পদ্মাপারের মানুষের সুখ-দুখ, জীবন যাত্রার মান, সীমান্ত দিয়ে মাদক পারাপারসহ নানান বিষয় নিয়ে। এই ছবিতে সবগুলো চরিত্রই নিখুঁতভাবে ফুঁটিয়ে তুলেছেন এর নির্মাতা। এর মধ্যে উঠে এসেছে প্রতিবন্ধী একটি পরিবারের গল্পও। যে পরিবারের চারজনের মধ্যে ২ জনই প্রতিবন্ধী। পদ্মার চরে হাজার প্রতিকূলতার মধ্যেও তাদের টিকে থাকার গল্প উঠে এসেছে এই চলচ্চিত্রটির কাহিনীতে।
এই চলচ্চিত্রে অরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র নিখুঁতভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন অভিনেত্রী শম্পা রেজা। এখানে তাকে তৃতীয়লিঙ্গের প্রধান হিসেবে দেখা যায়। মূলত সিনেমাটির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে এই চরিত্রটি। সেই প্রতিবন্ধী ছোট মেয়েকে (ময়না) তৃতীয় লিঙ্গ মনে করে তার দলে টেনে নেয়। পরে দেখা যায় যে, আসলে তিনি তৃতীয় লিঙ্গ নন। বড় হওয়ার পর অন্যের দ্বারা গর্ভবতীও হয়ে পড়েন ময়না। এই ময়নার চরিত্রটিই হলো গল্পের নায়িকা সাদিয়া মাহি।
স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটি দেখার পর অনেকেই বলেছেন, ‘ছবিটি দেখে অনেক ভালো লেগেছে। অনেকদিন পর আমরা ভালো একটি সিনেমা দেখলাম।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে ‘পদ্মাপুরান দেখলাম, দারুন একটা গল্প, অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফি। প্রথম ছবি হিসেবে নির্মাতা রাশীদ পলাশ দারুণ একটি সিনেমা বানিয়েছেন। শুভ কামনা থাকলো তাঁর জন্য।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।