দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই একেবারেই একা থাকেন। বিশেষ করে শহরে। কাজের জন্য বাড়ি ছেড়ে, সঙ্গীকে ছেড়ে। তাঁদের শরীরের উপর কি এর কোনও প্রভাব পড়ছে?
কর্মসূত্রে হোক বা শখেই হোক, পরিবার ছেড়ে অনেকেই একা থাকেন। কারও কয়েক দিন পর সেভাবে থাকতে ভালো লাগে না। কারও আবার অভ্যাস হয়ে যায়। তবে এভাবে একেবারে একা থাকার প্রভাব কি কোনওভাবে প়ড়ে শরীরের উপরও? তা কী জানান দেয় শরীরে?
রাতের পর রাত একা থাকতে থাকতে অনেকের দু’চোখের পাতা এক করতেও সমস্যা হয়। ২০২১ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা একা বসবাস করেন, তাদের অনেকই অনিদ্রার সমস্যায় ভুগে থাকেন। নিয়মিত কম ঘুম হতে থাকলে শরীরও নানাভাবেই জানান দেয়।
একা থাকার কারণে কম ঘুমের জন্য কী শরীরের ক্ষতি হয়?
# দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকলে মস্তিষ্কের উপর ব্যাপক চাপ পড়ে। সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন মনে হতে থাকে নিজেকেই। যার জেরে মানসিক চাপ-অবসাদ দেখা দিতে পারে।
# আবার সামাজিকভাবেও বিচ্ছিন্ন থাকার মনোভাব প্রভাব ফেলে স্মৃতিশক্তির উপর।
# তাছাড়া মানসিক চাপ টানা চলতে থাকলে কর্টিসল হরমোনের মাত্রাও তখন বাড়তে থাকে। এর প্রভাব পড়ে শরীরের উপরও। তখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। বার বার অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিও বাড়তে থাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।