দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার এ বছরের গ্র্যাজুয়েশন সেরেমনি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ জুলাই ডিপিএস সিনিয়র সেকশন অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ডিপ্লোমা অর্জন করেছেন এমন ১১১ জন গ্র্যাজুয়েট অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ভ্যালেডিক্টোরিয়ান হিসেবে বিশেষ বক্তৃতা প্রদান করেন আয়মান আলম।
কোরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা মঞ্চে উঠে তাদের সনদ গ্রহণ করে এবং স্কুলের প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপালের সাথে ছবি তোলেন। ব্যক্তিগত ও দলীয় ছবি তোলার পর ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার অধ্যক্ষ ড. শিবানন্দ সিএস বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে ড. শিবানন্দ সিএস বলেন, “গ্র্যাজুয়েশন সেরেমনি-২০২২ অনুষ্ঠান মেধাবী তরুণদের উপস্থিতি অত্যন্ত আনন্দদায়ক ও আশাব্যঞ্জক।” তিনি আরও বলেন, “কোভিড-১৯ আমাদের সবার জন্যই অত্যন্ত কঠিন ছিলো। কিন্তু অদম্য তারুণ্য, সহনশীলতা ও সাহসের কারণেই সঙ্কটপূর্ণ সময় কাটিয়ে এ গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে গ্র্যাজুয়েট হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য অপেক্ষা করছে অফুরন্ত সম্ভাবনা ও আনন্দময় সময়। শিক্ষার্থীদের সাথে আবার ক্যাম্পাসে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। সকল শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অভিনন্দন! আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সাফল্য কামনা করছি।”
এই সময় ভ্যালেডিক্টোরিয়ান আয়মান আলম ডিপিএস এসটিএসের অ্যাকাডেমিক অভিজ্ঞতা সবার সাথে তুলে ধরেন এবং শিক্ষকদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, “আমি আমার সব শিক্ষক, বন্ধু এবং মা- বাবাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। জীবনের এ পর্যায়ে আসতে তারা আমাদের যথেষ্ট সহায়তা করেছেন। তাদের সহযোগিতার কারণেই আমরা ডিপিএস এসটিএস স্কুলের এই পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছি।”
পরবর্তীতে, সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি উদযাপন করা হয়। এ সময় গ্র্যাজুয়েশন ক্লাসের বিশেষ মুহূর্তগুলো স্মরণ করে বানানো একটি ভিডিও দেখানো হয়। পরে শিক্ষার্থীরা গ্র্যাজুয়েট হিসেবে তাদের টুপি বাতাসে উড়িয়ে দিয়ে মুহুর্তটি উদযাপন করেন। গ্র্যান্ড ডিনারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ করা হয়।
সফলভাবে এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন তারানা মজিদ আহমেদ (সিনিয়র সেকশনের হেড) ও আফরিন খান (ডিপিএস এসটিএস সিনিয়র স্কুলের বিজনেস স্টাডিজের হেড অব ডিপার্টমেন্ট)। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।