দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেসরকারি খাতের জলবায়ু ও পরিবেশ-বান্ধব বিনিয়োগের কার্যকরী ব্যবহারে ব্যাংক কর্মকর্তারা যেনো আরও সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারেন, এজন্য ৩০ জন ব্যাংক কর্মকর্তার অংশগ্রহণে সিলেটে টেকসই অর্থায়ন নিয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করেছে জিআইজেড বাংলাদেশ।
সিলেটের রোজভিউ হোটেলে ‘সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ফর সাসটেইনেবিলিটি: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিস’ শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট (এসএফডি) এবং জিআইজেড বাংলাদেশ। জার্মান ফেডারেল সরকারের পক্ষে জিআইজেড বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়িত ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ফাইন্যান্স (আইসিআইসিএফ) প্রকল্পের উন্নত সমন্বয়ের মাধ্যমে এসএফডি’র সাথে যুক্ত হয়ে দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে পাঁচটিতে টেকসই অর্থায়নের ওপর ধারাবাহিকভাবে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
পরে সিলেটের রোজভিউ হোটেলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চল থেকে টেকসই অর্থায়ন এবং বিনিয়োগে আগ্রহী ৫০ জনেরও বেশি ব্যবসায়িক নেতা এবং উদ্যোক্তাদের নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। ‘সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ফর সাসটেইনেবিলিটি: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিস ফর দ্য প্রাইভেট সেক্টর’ শীর্ষক এই উদ্যোগে ব্যাংক কর্মকর্তা এবং বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকারীরা কীভাবে টেকসই ব্যবসা এবং উদ্যোগের জন্য স্বল্প খরচের ফান্ডিং বা তহবিল সংগ্রহের পন্থাগুলো সহজে অনুসরণ করতে পারেন, সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনায় অংশ নেন অংশগ্রহণকারীরা।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের পরিচালক খন্দকার মোর্শেদ মিল্লাত। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান আইসিআইসিএফ প্রজেক্ট জিআইজেড বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফেরদাউস আরা হোসেন।
প্রশিক্ষণের কারিগরি অংশ পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত পরিচালক অমিতাভ চক্রবর্তী, যুগ্ন পরিচালক দেলোয়ার হোসেন এবং উপ-পরিচালক মো. আরিফুল কবির। বক্তাদের আলোচনায় বিভিন্ন গুরুত¦পূর্ণ ক্ষেত্র, যেমন: টেকসই আর্থিক প্রতিবেদন, টেকসই অর্থায়ন প্রস্তাবের স্ক্রিনিং, গ্রিন রিফাইন্যান্স (পরিবেশবান্ধব পুনঃঅর্থায়ন) পদ্ধতি সমূহ, পুনঃঅর্থায়ন পণ্যের ব্যবহার, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রদত্ত টেকসই অর্থায়ন এবং সবুজ বিনিয়োগের জন্য স্বল্প খরচে তহবিলসমূহ প্রভৃতি উঠে আসে। প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) অধ্যাপক ড. এস এম আহসান হাবীব।
খন্দকার মোর্শেদ মিল্লাত তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের সামনে টেকসই বিনিয়োগের কোন বিকল্প নেই। সামনের বছরগুলোতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য টেকসই বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে। তিনি অংশগ্রহণকারীদের জন্য টেকসই আর্থিক নীতির ওপর একটি ট্রেনিং সেশনও পরিচালনা করেন।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় ড. ফেরদৌস দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণে বহিরাগত উৎস থেকে অতিরিক্ত জলবায়ু অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টির ওপর জোর দেন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ অর্থের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয়। সুতরাং, আন্তর্জাতিক অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য অংশীজনদের সক্ষমতা বাড়ানো দরকার।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হক। তিনি সিলেটের গ্রাহকদের মাঝে টেকসই অর্থায়নকে আরো পরিচিত করে তোলার লক্ষ্যে ব্যাংকারদের উৎসাহিত করেন এবং সিলেটের ব্যাংকারদের জন্য ভবিষ্যতে এই ধরণের প্রশিক্ষণ আয়োজনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ইম্প্রুভড কোওর্ডিনেশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ফাইন্যান্স (আইসিআইসিএফ) প্রকল্পের মাধ্যমে জিআইজেড, বাংলাদেশ সরকারের সাথে জলবায়ু অর্থায়ন সংগ্রহ এবং সমন্বয় সংক্রান্ত সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।