দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাখন খেলেও ঝরবে ওজন কিন্তু কীভাবে? পুষ্টিবিদরা মনে করেন, পিনাট বাটারে রয়েছে ট্রিপটোফান নামে এক উপাদান। যা ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে।
আপনি কী ওজন কমাতে চান? আবার বেশি পরিশ্রমও করতে পারবেন না? বেশি সময়ও দিতে পারবেন না? তাহলে আপনার জন্য সহজ সমাধান হতে পারে পিনাট বাটার।
হয়তো আপনি ভাবছেন মাখন খেয়ে কীভাবে কমতে পারে ওজন? শুনতে অবাক লাগলেও কথাটি কিন্তু সত্যি। প্রতিদিন পিনাট বাটার খেলেই কমতে পারে ওজন। কীভাবে তা সম্ভব? পুষ্টিবিদরা মনে করেন, পিনাট বাটারে রয়েছে ট্রিপটোফান নামে উপাদান, এটি ক্যালোরি ঝরাতেও সাহায্য করে।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কীভাবে রাখবেন এই পিনাট বাটার?
# কলার সঙ্গে পিনাট বাটার খেলে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে। কারণ হলো কলায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম। যা ট্রিপটোফানের সঙ্গে মিশে আরও তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে সাহায্য করে। পিনাট বাটার ফাইবার এবং প্রোটিনে থাকে ভরপুর। ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার পরিপাক ক্রিয়ার জন্যও ভালো। এই মাখনটি খেলে দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা থাকে। যে কারণে অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার প্রতি ঝোঁকও কমে।
# আবার সকালে ওটসের সঙ্গেও পিনাট বাটার খেতে পারেন। যারা ওজন ঝরাতে চান, তাদের জন্য ওটস-দুধ ও পিনাট বাটার খুবই ভালো নাস্তা। চাইলে ওটস, কলা ও পিনাট বাটার দিয়ে স্মুদি বানিয়েও খেতে পারেন।
# অফিসে বসে কাজের মাঝে প্রায়ই খিদে লাগে। তখন ভাজাভুজি, রোল, চাউমিন না খেয়ে ভরসা রাখতে পারেন এই পিনাট বাটারে। আপেলের সঙ্গেও খান পিনাট বাটার। বিকেলের হালকা খিদের জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর এই খাবারটি, আবার এটি সুস্বাদুও বটে।
পিনাট বাটার খাওয়ার সময় যে বিষয় মাথায় রাখতে হবে
# ওজন ঝরানোর পরিকল্পনা থাকলে যে পিনাট বাটারে লবণ থাকে, তা এড়িয়ে চলতে হবে। বেশি মাত্রায় লবণ শরীরে গেলে শরীরে বেশি মাত্রায় পানি জমতে থাকে। যে কারণে ওজন বেড়ে যায়।
# পিনাট বাটার খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। তাই অনেকেই সকাল থেকে শুরু করে বিকেলের নাস্তা, নানা সময় এই মাখনটি খেয়ে থাকেন। ভাবেন যে, শরীরের মেদ খুব দ্রুত ঝরবে। এই ধারণাটি একেবারেই ভুল। কোনও কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। দিনে এক-দু’চামচের বেশি এই মাখনটি না খাওয়াই ভালো।
# স্বাস্থ্যকর বলে আইসক্রিম কিংবা চকোলেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে পিনাট বাটার কখনও খাবেন না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।