দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কম্পিউটার ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস ঢুকলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
সম্প্রতি এমন একটি ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। ভুয়া গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপ ব্যবহার করে কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চেক পয়েন্ট রিসার্চে প্রকাশিত তথ্যে এই খবর জানানো হয়। কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য নাকি একটি ভুয়া গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপ তৈরি করেছে তুরস্কের একটি কোম্পানি। যা ব্যবহার করে কম্পিউটারে Nitokod নামে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করছে।
এখন পর্যন্ত ডেক্সটপ কম্পিউটারের জন্য কোনো পৃথক অ্যাপই তৈরি করেনি গুগল। সেই কারণেই এটাকে গুগল-এর তৈরি ট্রান্সলেট অ্যাপ ভেবে ডাউনলোড করে ফেলেছেন অনেকেই। কম্পিউটারে একবার এই অ্যাপ ইনস্টল হওয়ার পর ক্রিপ্টো-কারেন্সি মাইনিং শুরু করে দিচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন হ্যাকাররা।
ডাউনলোড শেষ হলেই অন্যান্য অ্যাপের নিয়ম মেনেই এই অ্যাপ ইনস্টল করতে হচ্ছে। তারপর ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে ইনস্টল হচ্ছে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার। ব্যবহারকারীর কম্পিউটার ব্যবহার করে শুরু হচ্ছে Monero ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিংয়ের কাজও। এই গোটা প্রক্রিয়াটি চলবে ব্যবহারকারীর অজান্তেই।
ইনস্টল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কম্পিউটারে তখন ক্রিপ্টো মাইনিং শুরু হয়ে যাবে। সিপিআর রিপোর্টে জানানো হয়, নিজের সব কিছু কনফিগার করেই শুরু করবে ক্রিপ্টো মাইনিং। গুগল ট্রান্সলেট ডেস্কটপ ডাউনলোড নামে গুগল সার্চ করলে এখনও খুঁজে পাওয়া যাবে এই অ্যাপটি।
Nitocode নামে এই ম্যালওয়্যারের সন্ধান এ পর্যন্ত ১১টি দেশের কম্পিউটার থেকে পাওয়া গেছে। ২০১৯ সাল হতে এই ম্যালওয়্যারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। একাধিকবার এই ম্যালওয়্যার সম্পর্কে সচেতনও করেছে সিপিআর।
Nitokod ম্যালওয়্যার থেকে বাঁচতে হলে ডেক্সটপ কম্পিউটারে গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপ কখনও ডাউনলোড করবেন না। এই ধরনের কোনো অ্যাপ এখন পর্যন্ত নিয়ে আসেনি গুগল। শুধুমাত্র ব্রাউজার ওপেন করেই গুগল ট্রান্সলেট ওয়েবসাইট হতে ডেক্সটপ থেকে এই ট্রান্সলেশন পরিষেবাটি ব্যবহার করুন।
উল্লেখ্য, এই ধরনের ম্যালওয়্যার অ্যাটাক দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে শুধুমাত্র কম্পিউটার গ্রাহকই নয়, Android গ্রাহকরাও হ্যাকারদের নিশানায় এসেছেন। সম্প্রতি গুগল প্লে স্টোর হতে ৫০টি অ্যাপ সরিয়ে নেওয়া হয়। এইসব অ্যাপে ম্যালওয়্যারের সন্ধান পাওয়া গেছে। একাধিক সুরক্ষা রিপোর্টে জানানো হয়, এই ধরনের ক্ষতিকর অ্যাপের হাত ধরেই এক সময় লাখ লাখ ডিভাইসে পৌঁছে যাচ্ছে Joker, FaceSteller I Kooper -এর মতো ভয়ঙ্কর সব ম্যালওয়্যার। তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।