দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাড়িতে ছোট শিশু রয়েছে এমন বাড়ির সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। ওইসব একরত্তির জন্য নানা ধরনের প্লাস্টিকের খেলনা কিনে আনেন। কিন্তু ওই খেলনা কোনো বিপদ আসবেনা তো?
আপনার শিশুর জন্য কোনো খেলনা নিয়ে শিশুটিও ওই খেলনা দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে সেটি স্বাভাবিক। সারাক্ষণ ওই খেলনাগুলো নিয়েই থাকে সে।
খাওয়া-দাওয়ায় ঠিক মতো করতে চাই না আপনার ঘরের শিশুটি। যে কারণে শিশুটিকে ভোলাতে তার হাতে ধরিয়ে দেন প্লাস্টিকের খেলনা গাড়ি। খেলতে খেলতে সেই গাড়ি মুখেও দিচ্ছে আপনার শিশু। বাড়িতে শিশু থাকলে এমন কিছু দৃশ্য প্রায়ই চোখে পড়ে। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা বলছে যে, প্লাস্টিকের এই খেলনা আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
সম্প্রতি আমেরিকার প্লাইমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা প্লাস্টিকের খেলনা নিয়ে এক গবেষণা করেছেন। গবেষকরা জানিয়েছেন যে, প্লাস্টিক মাত্রই তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। প্লাস্টিকের খেলনায় গবেষকরা অ্যান্টিমনি, ব্রোমিন, বেরিয়াম, ক্যাডমিয়াম, সিসার, সেলেনিয়াম-সহ বিভিন্ন বিপজ্জনক রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতি দেখতে পেয়েছেন। যা শিশুর শরীরে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির কারণ হতে পারে। খেলনা হাতে পাওয়া মাত্র তা সকলের আগে মুখে দেয় শিশুরা। খেলনায় থাকা ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদানগুলো লালার মাধ্যমে শরীরের মধ্যে ভিতরে প্রবেশ করে।
জানা যায়, অধিকাংশ প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির প্রধান উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ফ্যাথালেটস। প্লাস্টিক নরম করে তুলতে এই উপাদানটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ওই রগবেষণায় দেখা গেছে, এই রাসায়নিক অ্যাজমার কারণও হতে পারে। তাছাড়াও পরবর্তীকালে স্থূলতার সমস্যাও ডেকে আনতে পারে এটি। শুধু খেলনায় নয়, প্লাস্টিকের ফিডিং বোতল ব্যবহারও শিশুর জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়াও ওইসব প্লাস্টিকের খেলনা সামগ্রীতে টক্সিনের পরিমাণও প্রায় ৮৪ শতাংশ। এই বিপজ্জনক টক্সিন শিশুর বেড়ে ওঠা, বিকাশ এমনকি পরবর্তীকালে প্রজনন ক্ষমতাকেও ব্যাহত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।