দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসরাইল সেনারা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে মিসাইল হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ৪ জন সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন। এছড়াও আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪ জন।
আজ সোমবার (৭ আগস্ট) ভোর রাতে চালানো এই হামলায় দামেস্কে অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। -খবর রয়টার্সের।
জানা যায় যে, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের আশপাশে চালানো ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৪ জন সেনা নিহত, আরও অন্তত ৪ জন আহত হন বলে সোমবার সকালে সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। হামলায় ‘কিছু বস্তুগত ক্ষতি’ও হয়েছে বলে এতে জানানো হয়।
সিরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে, সোমবার গভীর রাতে সিরিয়ার দখলকৃত গোলান মালভূমির দিক থেকে আকাশপথে আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরাইল। ওই হামলায় দামেস্ক শহরের আশপাশের কিছু পয়েন্টকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরাইলি কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দেয় ও কয়েকটি গুলি করে ভূপাতিত করে বলেও সামরিক বাহিনীর দাবি।
অবশ্য কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি কিংবা অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার করা হয়নি।
উল্লেখ্য যে, ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইল এই দেশটির অভ্যন্তরে শত শত বিমান হামলা চালাচ্ছে। সরকারি নানা স্থাপনার পাশাপাশি মিত্র ইরান-সমর্থিত বাহিনী ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে এইসব হামলা চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইসরাইল অবশ্য খুব কমই সিরিয়ায় এই ধরনের অভিযানের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য কর।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org