দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দু’দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি দিলেও ফিলিস্তিনি গায়িকা দালাল আবু আমনেহকে গৃহবন্দি করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাকে আবারও গ্রেফতারের শঙ্কা রয়েছে।
ইতিমধ্যেই কারাগারে থাকার সময় তার সঙ্গে হওয়া ইসরায়েলিদের নির্যাতনের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টও করেছেন এই গায়িকা। স্থানীয় সময় রবিবার এই তথ্য দিয়েছেন তিনি।
দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনস্টাগ্রামে দুই ছেলে-মেয়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন গায়িকা দালাল আবু আমনেহ।
সেখানে তিনি লেখেন যে, মিথ্যা অপবাদে অন্যায়ভাবে দুই রাত নির্জন কারাগারে থাকার পর আমি বর্তমানে মুক্ত। তিন দিনের অনশনে দুর্বল হয়ে যাওয়া আমার শরীর বর্তমানে অনেকটা সবল। সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস আমার আরও গভীর হলো। আমার বার্তা এবং কাজের প্রতি বিশ্বাস বেড়েছে আরও ১০ গুণ। তারা আমার মনুষ্যত্বকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টাও করেছিল, কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল এমনকি আমাকে সব রকমভাবে অপমান করেছিল।
তিনি আরও লিখেছেন যে, ইসরায়েলি বাহিনীর অপমান ও হাতে হ্যান্ডকাফ পরানো আমাকে আরও গর্বিত এবং মর্যাদাবান করেছে।
ইসরায়েলের নাজারেথ এলাকার বাসিন্দা ফিলিস্তিনি গায়িকা দালাল আবু আমনেহের দেশটির নাগরিকত্ব রয়েছে। ইসরায়েলে হামাস হামলা করলে ইনস্টাগ্রামে ফিলিস্তিনি পতাকার ইমোজি ব্যবহার করে তিনি লিখেন, ‘সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কোনো বিজয়ী নেই।’ এর জেরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দু’দিন কারাগারে থাকার পর ১৮ অক্টোবর জামিন পেয়েছেন আমনেহ। কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org