দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্যালাক্সি ‘অসাম’ সিরিজের নতুন স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এ০৫এস নিয়ে এলো স্যামসাং বাংলাদেশ। সর্বাধুনিক এই ডিভাইসটিতে রয়েছে সুবিশাল ব্যাটারি, শক্তিশালী প্রসেসর ও অনবদ্য ক্যামেরা সেটআপ সহ আরও অনেক দুর্দান্ত ফিচার।
স্যামসাংয়ের নতুন সংযোজন গ্যালাক্সি এ০৫এস – এ স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে; যা দিবে ফোন ব্যবহারে অনবদ্য পারফরমেন্স, সাথে নিশ্চিত করবে চার্জের কার্যকরী ব্যবহার। এই শক্তিশালী প্রসেসর ও অ্যান্ড্রয়েড ১২ ওয়ান ইউআই ৫.১ সফটওয়্যারের সমন্বিত ব্যবহার ডিভাইসটির গতি ও সক্ষমতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে; যার ফলে ব্যবহারকারীরা উপভোগ করবেন নিরবচ্ছিন্ন মাল্টিটাস্কিং সুবিধা ও স্মুথ অ্যাপ্লিকেশন অপারেশন। পাশাপাশি, হাই রেজ্যুলেশন ও হাই রিফ্রেশ রেটের মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহারের স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে স্মার্টফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬.৭ ইঞ্চি এফএইচডি+ ৯০ হার্জ ডিসপ্লে। বিনোদন হোক বা সোশ্যাল মিডিয়া, স্মার্টফোন পছন্দ করেন এমন প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষেরা এখন এই ডিসপ্লে ব্যবহার করে সারাদিন নিজের ভালোলাগার কনটেন্ট উপভোগ করবেন।
গ্যালাক্সি এ০৫এস ডিভাইসে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো ক্যমেরা ও ১৩ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির বিষয়টি বিবেচনা করে ভার্সেটাইল এই ক্যামেরা সেটআপটি নিয়ে এসেছে স্যামসাং; এর মাধ্যমে এখন ব্যবহারকারীরা সবধরণের ছবি ও ভিডিও স্বাচ্ছন্দ্যে ধারণ করার সুযোগ পাবেন। একইসাথে, দীর্ঘসময়ের জন্য ফোন ব্যবহার নিশ্চিত করবে এর সুবিশাল ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ২৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং।
গেমার ও ছবিপ্রেমী মানুষের জন্য একদম যথার্থ হবে নতুন এই গ্যালাক্সি এ০৫এস ডিভাইস। এতে র্যাম+ ফিচারের মাধ্যমে ৮ জিবি পর্যন্ত র্যাম বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ থাকছে। এতে করে এখন ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই তাদের পছন্দের গেমস খেলতে পারবেন ও নান্দনিক ছবি তুলে ফোনে সেভ করার সুযোগ পাবেন।
এ বিষয়ে স্যামসাং বাংলাদেশের হেড অব এমএক্স বিজনেস মো. মূয়ীদুর রহমান বলেন, “গ্যালাক্সি ‘অসাম’ এ সিরিজের নতুন স্মার্টফোন নিয়ে আসতে পেরে স্যামসাং অত্যন্ত আনন্দিত। এখন সব ফিচার একজায়গাতেই পাওয়া যাবে, ফলে ডিভাইসটি গেমিং ও ফটোগ্রাফি পছন্দ করেন এমন মানুষের প্রয়োজন খুব ভালোভাবে পূরণ করতে পারবে। গ্যালাক্সি এ০৫এস, নতুন এই স্মার্টফোনটি ব্যবহারকারীদের মাঝে সাড়া জাগাবে বলে আশাবাদী আমরা।”
স্মার্টফোনটি এখন দুটি সংস্করণে পাওয়া যাচ্ছে। মাত্র ২১,৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাবে এর ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি রমের গ্যালাক্সি এ০৫এস এবং মাত্র ২৬,৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাবে এর ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রমের সংস্করণটি। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org