দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্রিপ্টো ডটকম এরেনায় অনুষ্ঠিত হলো বছরের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সঙ্গীত পুরস্কার অ্যাওয়ার্ড ‘গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’। ৪ ফেব্রুয়ারি ‘৬৬তম বার্ষিক গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড’-এ অনুষ্ঠানে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বছরজুড়েই সেরা গান, সুর, অ্যালবাম এবং সেরা সঙ্গীত তারকাদের সম্মানিত করা হয়।
দি নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, এ বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যালবাম ‘মিডনাইটস’-এর জন্য সেরা অ্যালবামের পুরস্কার জয় করেছেন এই গায়িকা। রেকর্ড অফ দ্য ইয়ার নির্বাচিত হন মাইলি সাইরাস তার ‘ফ্লাওয়ার’ অ্যালবামের জন্য। সেরা একক পারফরম্যান্সের পুরস্কারও (ফ্লাওয়ার) ঘরে তুলেছেন এই গায়িকা।
সেরা ‘আর এন্ড বি’ গানের বিভাগে পুরস্কার ঘরে তুললেন সর্বোচ্চ মনোনয়নপ্রাপ্ত এসজেডএ (স্নুজ)। সেরা প্রগতিশীল ‘আর এন্ড বি’ অ্যালবামের (স্নুজ) পুরস্কার ঘরে তুলেছেন এসজেডএ। ফোবি ব্রিজার্স-এর সঙ্গে সেরা যৌথ পারফরম্যান্সের পুরস্কারও ঘরে তুললেন এসজেডএ।
অপরদিকে সেরা আঞ্চলিক অ্যালবাম নির্বাচিত হয়েছে ক্যারল-জি’র ‘মানানা ছেরা বনিতো।’ বছরের সেরা নতুন আর্টিষ্ট নির্বাচিত হন ভিক্টোরিয়া মনেট। এবার সেরা ফোক অ্যালবামের পুরস্কার জিতেছেন জনি মিচেল (জনি মিচেল এট নিউপোর্ট)।
আর সেরা র্যাপ অ্যালবাম নির্বাচিত হয়েছে কিলার মাইকের ‘মাইকেল।’সেরা রক পারফরম্যান্সের বিজয়ী হন বয়জিনিয়াস (নট স্ট্রং এনাফ)।
তাছাড়াও অন্যান্য ক্যাটাগরীতে বছরের সেরা পারফরমারদেরও দেওয়া হয়েছে গ্র্যামির পুরস্কার। মোট ৯৪টি বিভাগে তারা বছর সেরা পুরস্কার জিতেছেন।
ট্রেভর নোহ’র সঞ্চালনায় এই বছর গ্র্যামি মঞ্চে পারফরম্যান্স করে দর্শক মাতান এসজেডএ, বিলি জোয়েল, জনি মিচেল, ডুয়া লিপা, লুক কম্বস ও বার্না বয়ের মতো তারকারা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org