দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশের বাজারে প্রোটন এক্স৯০ মডেলের গাড়ি উন্মোচন করেছে বাংলাদেশে প্রোটনের একমাত্র অনুমোদিত পরিবেশক র্যানকন।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার মাননীয় হাই কমিশনার হাজনাহ মোহাম্মদ হাশিম; প্রোটনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. লি চুনরং; এবং র্যানকন হোল্ডিংস লিমিটেড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রোমো রউফ চৌধুরী।
মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে গতিশীল করা এবং দেশটির স্থানীয় অটোমোটিভ শিল্পের ভিত্তি স্থাপনের লক্ষ্যে ১৯৮৩ সালের ৭ মে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রোটন। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি ডিআরবি-হাইকম এবং ঝেইজ্যাং গিলি হোল্ডিং গ্রুপের সাথে অংশীদারিত্ব স্বাক্ষরের মাধ্যমে একটি বৈশ্বিক অটোমোটিভ ব্র্যান্ড হওয়ার পরিকল্পনায় নিজেদের পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করে। উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, সেরা নির্ভরযোগ্যতা এবং বিশ্বমানের নিশ্চয়তা দানের মূলনীতি অবলম্বনকারী প্রোটন বর্তমানে নিজেদের ব্র্যান্ড প্রতিশ্রুতি “ইন্সপায়ারিং কানেকশন্স” অনুসরণে নির্মিত দূর্দান্ত সব গাড়ি সরবরাহের মাধ্যমে গ্রাহকসন্তুষ্টি নিশ্চিত করে যাচ্ছে।
প্রোটন এক্স৯০ গাড়িটি বাজারে নিয়ে আসার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একমাত্র পরিবেশক ও নির্মাণকারী র্যানকন কারস লিমিটেডের সাথে প্রোটন হোল্ডিংসের এক অনন্য যাত্রা আরম্ভ হল।
এ সম্পর্কে ড. লি চুনরং বলেন, “আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, প্রোটনে আমাদের সাফল্যের অগ্রযাত্রায় র্যানকন হোল্ডিংস এক সেরা অংশীদার। তারা ইতিমধ্যে একটি বিক্রয় এবং বিক্রয়োত্তর সেবা নেটওয়ার্ক স্থাপন করছে, বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে প্রোটনের গাড়ি অ্যাসেম্বল করার জন্য তারা ভবিষ্যতে একটি ম্যানুফেকচারিং লাইনেও বিনিয়োগ করবে। এই অংশীদারিত্বের প্রতিটি দিক সমর্থনের পাশাপাশি অদূর ভবিষ্যতে আমরা আরো সমৃদ্ধ সেবা নিয়ে আসব, এবং এর মাধ্যমে আমরা দেশের অটোমোটিভ বাজারে একটি শীর্ষ ব্র্যান্ড হওয়ার প্রত্যাশা রাখি”।
প্রোটন এক্স৯০ গাড়িটিতে রয়েছে ১.৫ লিটার টার্বোচার্জড ইঞ্জিন সহ দূর্দান্ত ৪৮ভি মাইল্ড হাইব্রিড সিস্টেম। ভলভো’র সঙ্গে একযোগে নির্মিত এই মডেলটি আরো বেশি তেল সাশ্রয় করতে সক্ষম, আর গাড়ির পারফর্মেন্সও ব্যবহারকারীরা নিঃসন্দেহে উপভোগ করবেন।
ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিজেদের শোরুমে এক্স৯০’র দু’টি ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এসেছে র্যানকন, যথাক্রমে ৬-সিটের ফ্ল্যাগশিপ ভ্যারিয়েন্ট, যেটির মূল্য ৪৯.৯০ লাখ টাকা; এবং ৭-সিটের প্রিমিয়াম ভ্যারিয়েন্ট, যেটির মূল্য ৪৫.৯০ লাখ টাকা। গাড়িটি কিনলে ৫ বছর অথবা ১৫০,০০০ কিমি (যেটি আগে হয়) পর্যন্ত র্যানকনের ওয়ারেন্টি প্রযোজ্য থাকবে, সেই সাথে ৬টি ফ্রি আফটার সেলস সার্ভিসও দিবে র্যানকন। এছাড়াও, গাড়ির সেরা যত্নের জন্য র্যানকনের অথরাইজড সার্ভিস সেন্টার থেকে যেকোনো সেবা ও মূল স্পেয়ার পার্টস সংগ্রহ করা যাবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে এই সার্ভিস সেন্টারগুলো কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে র্যানকন হোল্ডিংস লিমিটেডের গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর রোমো রউফ চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশে এক চোখ ধাঁধানো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গঠনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে র্যানকন। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রগ্রতিশীল নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা এবং অটোমোবাইল ম্যানুফেকচারিং পলিসি’র সাথে তার পরিকল্পনার একাত্মতার ফলাফল হিসেবে আশা করছি ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ আমরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে প্রোটন গাড়ি নির্মাণকার্য আরম্ভ করতে পারব। এর ফলে দামও উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার চেষ্টা করব”।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org